দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : দাখিল পরীক্ষায় ফোন দেখে নকল সরবরাহের ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর লক্ষ্মীপুরের সেই কেন্দ্রের সচিব হামিদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসককে সভাপতি করে পাঁচ সদ্যসের নতুন পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রসচিব হামিদুল ইসলাম বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের নিদের্শনার প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের দেয়া একটি চিঠির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
আরো পড়ুন : দাখিল পরীক্ষার্থীদের নকল দিচ্ছেন শিক্ষকরা, ভিডিও ভাইরাল
এর আগে গত বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো ফুটেজের মাধ্যমে লক্ষ্মীপুরের বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা পরীক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষকদের নকল সরবরাহ ও ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গেছে, ওই কেন্দ্রের শিক্ষকেরা পরীক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন দেখে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছেন। একজন শিক্ষক দরজায় দাঁড়িয়ে পাহারা দিচ্ছেন, আরেকজন শিক্ষক পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে দিচ্ছেন।
এর আগে আরো অভিযোগ ছিলো, ওই পরীক্ষাকেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন নির্ধারিত ৩ ঘণ্টা পরেও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারির সাধারণ গণিত পরীক্ষা ও গত ৩ মার্চ (রোববার) ইংরেজি প্রথমপত্রের পরীক্ষা নির্দিষ্ট সময়ের পরও নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও পরীক্ষার্থীদের হাতে হাতে নকল তুলে দিচ্ছিলেন শিক্ষকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেন্দ্রটিতে ১০টি মাদরাসার শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন। ৮টি কক্ষে পরীক্ষা হলেও সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে মাত্র ৩টি কক্ষে।
এছাড়াও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড নীতিমালা অনুযায়ী দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র কমিটিতে ৫ জন সদস্যের কথা বলা থাকলেও বশিকপুর ডি.এস.ইউ. কামিল মাদরাসা যে নিয়ম মানেনি।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি জেলা প্রশাসক। কোনো কিছু জানতে হলে তার সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রিয়াংকা দত্ত। তবে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।