দালেবর হাকিমের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন ও তৎপরবর্তী ঘটনা

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

অজরা বানু উঁকি মেরে দেখল, বস চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে আছেন; দুচোখের পাতা বন্ধ। বস কিসিমের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার আগে নিয়ম হচ্ছে, গলায় কিছুটা মধু ঢেলে নিতে হবে। গলায় এক কৌটা মধু ঢেলে অজরা বানু অনুমতি প্রার্থনা করল

: স্যার, আসব?

দালেবর হাকিম ইশারালিপি প্রয়োগের মাধ্যমে অনুমতি প্রদান করলেন। কক্ষে প্রবেশের পর দেখা গেল, বসের হাতের দশ আঙুল এমনভাবে নাচছে, যেন তিনি বাতাসে বীণা বাজাচ্ছেন। বীণাবাদন শেষ হওয়ার পর দালেবর হাকিম চোখ মেললেন। অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে বললেন-

: আরে! আপনে দাঁড়াইয়া রইছেন কেন? বসেন।

অজরা বানু সঙ্গে কলম ও ডায়েরি নিয়ে এসেছে। বসের কোনো নির্দেশনা থাকলে লিপিবদ্ধ করবে। ঠোঁটে বিনয়ের হাসি ফুটিয়ে তুলে অজরা বানু বলল-

: না, না স্যার; ঠিক আছে।

: আরে! বসেন।

বস হাঁটতে বললে হাঁটতে হবে। দৌড়াতে বললে দৌড়াতে হবে। বসের মুখের কথাই শেষ কথা। অজরা বানু বসল। দালেবর হাকিম অজরা বানুর চোখে চোখ রেখে জানতে চাইলেন-

: গতকালের পার্টি কেমন হইছে, বলেন।

গতকাল অফিসে যে অনুষ্ঠান হয়েছে, তার আয়োজক ছিলেন স্বয়ং দালেবর হাকিম। সম্প্রতি তিনি ডক্টর অব ফিলোসফি (পিএইচডি) হয়েছেন। পিএইচডি ডিগ্রি মামাবাড়ির জামগাছে থোকায় থোকায় শোভা পাওয়া পাকা জাম নয়-কেউ চাইলেই মুখে দিয়ে জিহ্বা রঙিন করে ফেলবে। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা অনেক কঠিন কাজ। এজন্য দরকার জ্ঞান, মেধা ও পরিশ্রম। এ তিনটির সম্মিলন ঘটিয়ে মিশন সাকসেসফুল করার পর দালেবর হাকিম অসম্ভব রকমের খুশি হয়েছেন। খুশি জিনিসটা একা উপভোগ করার বিষয় নয়। যদি তাই হতো, তবে আল্লাহপাক ঈদ-চাঁদের উদয় আকাশে না ঘটিয়ে মানুষের পকেটে পকেটে চালান করে দিতেন। পিএইচডি থেকে উৎসারিত খুশির যে রঙ, তা সবার মনে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই গতকাল তিনি অফিসে পার্টি দিয়েছিলেন। বিশাল পার্টি। পার্টিতে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও দালেবর হাকিমের বন্ধু-বান্ধব ও শুভান্যুধায়ীরা উপস্থিত হয়েছিলেন। খাওয়া-দাওয়ার পর সবার জন্য উপহারের ব্যবস্থাও ছিল। উপহার হিসাবে যে বস্তুটা অজরা বানুর করতলগত হয়েছে, সেটা তার পছন্দ হয়নি। তবে এ কথা বসকে বলা যাবে না। গতকালের অনুষ্ঠানে যা কিছু খারাপ ছিল-সেগুলো বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করে ‘ভালো’র নিশান ওড়াতে হবে। অজরা বানু টেনে টেনে বলল-

: খুবই সুন্দর অনুষ্ঠান হইছে স্যার। অফিসের সবাই খুব হ্যাপি।

বাজারে রকেট বেলুন বলে এক ধরনের বেলুন পাওয়া যায়। এ বেলুনে হাওয়া ভরে শূন্যে ছেড়ে দেওয়ার পর সেটা যেমনভাবে শব্দ উৎপন্ন করে; অজরা বানুর কথায় দালেবর হাকিমের নাকের দুই ছিদ্র প্রায় সেরকম শব্দ নির্গত করল। অধস্তনের উদ্দেশে তিনি বললেন-

: হুম। সব মিলাইয়া আমার মধ্যেও একটা হ্যাপি-হ্যাপি ভাব বিরাজ করতেছিল। কিন্তু...

সর্বনাশ! বসের মুখে ‘কিন্তু’ শব্দ উচ্চারণ হওয়ার মানে একটাই-তরকারিতে লবণ বেশি হয়েছে। অজরা বানুর মনে হলো, চোখ দুটো টেনে নিয়ে কপালে বসাতে পারলে বসের মুখে ‘কিন্তু’ শব্দের উচ্চারণ শুনে সে কতটা অবাক হয়েছে-তার যথার্থ প্রকাশ ঘটানো যেত। অজরা বানু টম অ্যান্ড জেরি কার্টুন সিরিজের টম কিংবা জেরি নয়। চাইলেও সে টম কিংবা জেরির মতো কানের ভেতরে নাক অথবা পেটের ভেতরে লেজ ঢুকানোর ক্ষমতা রাখে না। তার অস্ত্র হচ্ছে চাহনি ও গলার স্বর। সে একযোগে যুগল অস্ত্রের প্রয়োগ ঘটাল। চেহারায় অত্যাশ্চর্য ভাব ফুটিয়ে তুলে চৈত্র মাসের তুলার মতো বাতাসে ভাসতে ভাসতে বলল-

: কী হইছে স্যার!

দালেবর হাকিম উদাস চোখে অজরা বানুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন কিছুক্ষণ। তারপর বললেন-

: আপনে হেকুরে চিনেন না?

হেকু মানে হেকমত আলী। বসের বন্ধু। অজরা বানু ঘাড় নেড়ে বলল-

: জি স্যার, চিনি। গতকাল অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।

: আইসা কী করছে?

অজরা বানু মহাফাঁপরে পড়ল। সে হেকমত আলীর লেজ ধরে বসে থাকেনি। ভদ্রলোক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পর কী করেছেন, না করেছেন-এখন তাকে যদি তা উদঘাটন করতে হয়, তাহলে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কথাটা বলার জন্য অজরা বানু ঠোঁট ফাঁক করেছে-এ সময় দালেবর হাকিম আগের কথার ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বললেন-

: ব্যাটা সবার চাইতে বেশি খাইছে; সবচাইতে ভালো উপহারটা বগলদাবা কইরা লইয়া গেছে। অথচ এখন প্রচার করতেছে, হাইক্যার পিএইচডি ডিগ্রি ভেজাল। চিন্তা করছেন বিষয়টা!

বাংলা ভাষায় ‘আকাশ থেকে পড়া’ বলে একটা শব্দ প্রচলিত আছে। অজরা বানু এমন প্রতিক্রিয়া দেখাল, যাতে মনে হচ্ছিল-পুরো আকাশটাই তার মাথার ওপর ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়া আকাশ মাথার ওপর রেখে কষ্ট-বেদনায় নীল হতে হতে সে বলল-

: স্যার! তিনি আপনারে হাইক্যা বলেছেন!

: আরে হাইক্যা-ফাইক্যা কোনো বিষয় না। আমি ওরে হেকু বলি, ও আমারে হাইক্যা বলে-বন্ধুমহলে এইসব চলতে পারে। কিন্তু ও হাত দিছে কোন জায়গায়-বুঝতে পারছেন?

অজরা বানু কথা না বলে বসের দিকে তাকিয়ে রইল। দালেবর হাকিম পুনরায় বায়ুমণ্ডলে বীণাবাদন শুরু করলেন। সুর-শব্দহীন এ বাদ্য-বাজনা বেশ কিছুক্ষণ চলার পর হা করে দম ছেড়ে তিনি বললেন-

: আমাদের প্রধান সমস্যা কী; বলেন তো!

সমস্যার কথা ভাবতে গিয়ে অজরা বানুর মনে হলো-জনসংখ্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতিসহ এমন কোনো সেক্টর নেই-যেখানে সমস্যা বিরাজ করছে না। এই দেশে চলতে গেলে সমস্যা, বসতে গেলে সমস্যা, খাইতে গেলে সমস্যা, শুইতে গেলে সমস্যা। এসব সমস্যা ছাপিয়ে দেশে এখন নতুন এক সমস্যার আবির্ভাব ঘটেছে। এর নাম করোনাভাইরাস। অল্পের জন্য রক্ষা হলো। যে সমস্যাটিকে চ্যাম্পিয়ন হিসাবে বসের সামনে খাড়া করতে যাচ্ছিল অজরা বানু, দালেবর হাকিম সেটার ধারেকাছেও গেলেন না। তিনি বললেন-

: এই জাতির প্রধান সমস্যা হইল মানসিক সমস্যা। অচেনা-অপরিচিত কেউ উন্নতি করলে, গাড়ি-বাড়ি, জমিজমা, এমন কী একটা দ্বীপের মালিক হইলেও কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু যখনই কোনো পরিচিত মানুষ, আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধব চিৎ অবস্থা থেইকা কাইত হয়-অমনি আমাদের কলিজা থেইকা কষ বাইর হইতে থাকে। তখন ওই লোকের বাঙ্গি কিভাবে ফাটানো যাবে-সেই চিন্তায় আমাদের ঘুম-আরাম সব হারাম হইয়া যায়। ধইরা নিলাম-আমার পিএইচডি ডিগ্রির মধ্যে ঘাপলা আছে; কিন্তু তাতে হইছেটা কী! এই দেশে কোন জিনিসটার মধ্যে ঘাপলা নাই? কত মানুষ ভেজাল সার্টিফিকেট লইয়া ডাক্তারি-ওকালতি-মাস্টারি করতেছে! আমি তো তা করতে যাইতেছি না। ছয় নম্বরি মুক্তিযোদ্ধার মতো ভুয়া সার্টিফিকেট দাখিল কইরা কোনো সুবিধাও নিতে চাইতেছি না। অফিসে সারাক্ষণ স্যুট-কোট-টাই পিইন্ধা থাকতে হয়; তাই ভাবলাম-ওজনদার পোশাকের সঙ্গে ওজনদার একটা ডিগ্রি না হইলে আর চলতেছে না। এই ভাবনা থেইকাই পিএইচডি অর্জনের পথে হাঁটছি। অথচ দেখেন, হেকু আমার বন্ধু মানুষ হইয়া...। আহ-হা, দুঃখ রাখার আর জায়গা নাই। আরে হেকু, আরে হেকুইল্যা! বুঝলাম, তর বাঁশঝাড়ে বাঁশের অভাব নাই; কিন্তু সেই বাঁশ ব্যবহার করার জায়গাও তো আছে প্রচুর। তুই ডাইনে-বামে না তাকাইয়া আমার পশ্চাদদেশ বাইছা নিলি কী জন্য?

বসের মুখে মানব শরীরের একটি বিশেষ অঞ্চলের নাম উচ্চারিত হতে শুনে অজরা বানু মাথা নিচু করে ফেলল। আগের দিনের রাজা-বাদশাদের রাজ্য দখলের ন্যায় বস যদি এখন শরীরের অন্য কোনো অঞ্চলের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন, তাহলে বিপদ। ভাগ্য সহায়-দালেবর হাকিম সেদিকে অগ্রসর না হয়ে অজরা বানুর উদ্দেশে বললেন-

: বুঝলেন, বাঁশ খাওয়ার পর থেইকা আমি নতুন একটা বিষয় লইয়া ভাবতেছি।

নতুন বিষয় কী হতে পারে-তা নিয়ে অজরা বানু চিন্তা করতে লাগল। অজরা বানুর চিন্তার পক্ষীশাবক এক ডাল থেকে আরেক ডালে ঘুরে বেড়ানোর এক পর্যায়ে দালেবর হাকিম বললেন-

: আমি আমার বন্ধু হেকমত আলীর নামে একটা পুরস্কার প্রবর্তন করতে চাই। এইটার নাম হবে- হেকমত আলী বাঁশশিল্প পুরস্কার।

দালেবর হাকিমের কথা শোনার পর মুহূর্তকাল দেরি না করে অজরা বানু বলে উঠল-

: আমরা কি স্যার, এই বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দরখাস্ত আহ্বান করব?

: আরে না! দরখাস্ত চাইলে দেখা যাবে-বাঁশের জিনিসপত্র তৈরির কারিগররা আইসা লাইন ধরছে। পুরস্কারটা প্রদান করা হবে, হেকমত আলী আমারে যে বাঁশ দিছে; সেই বাঁশশিল্পের জন্য।

পুরস্কার প্রবর্তনের সুসংবাদটা বন্ধু হেকমত আলীকে দেওয়ার জন্য নিজের ফেসবুকে ঢুকলেন দালেবর হাকিম। সেখানে ঢোকার পর মারাত্মক একটা ঘটনার সংবাদ অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হেকমত আলীর নম্বরে ফোন করলেন তিনি। বললেন-

: ওরে হেকু! ফেসবুকে এইটা কী দেখলাম?

: কী দেখছস?

: দেখলাম-প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হিসাবে যে তিনটা ব্রিজ তুই খাঁড়া করছিলি-ওইগুলা বালিশ ছাড়াই একলগে শুইয়া পড়ছে।

: একসঙ্গে পড়ে নাই।

: ও আইচ্ছা! তাইলে প্রথমে একটাই ধইসা পড়ছিল। বড়জনরে কাইত হইতে দেইখা বাকি দুইটা মনে হিট খাইয়া বিছানা লইছে; তাই না?

: দেখ হাইক্যা, যেইটা বুঝস না; সেইটা লইয়া কথা বলতে আসবি না। ব্রিজ ধইসা পড়ছে অন্য কারণে।

: অন্য কী কারণ? বজ্রপাত? অচমকা বজ্রপাতের কামড় খাইয়া ব্রিজগুলা ধরাশায়ী হইছে কি?

: আরে বোকা! বজ্রপাতে কখনও ব্রিজ ধইসা পড়ে না।

: অসম্ভব কী! যে দেশে খাম্বা ধইরা টানাটানি করলে ভবন কাইত হওয়ার নজির আছে, সেই দেশে বজ্রপাতে ব্রিজ ভাইঙ্গা পড়ায় দোষের কিছু নাই।

: প্যাচাল থামা ব্যাটা। আসলে ব্রিজগুলা ধইসা পড়ছে...

: কীজন্য ধইসা পড়েছে, কইয়া ফেলা। ঠিকাদারের কাছ থেইকা মালপানি খাইয়া রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের অনুমতি দিছিলি?

: আরে ধুর! নির্মাণকাজে রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করে চুয়াডাঙ্গার লোকজন।

: তোরা তাইলে কী করস! পাইলিং ছাড়াই ব্রিজ খাড়া করস?

: আরে পাইলিং-ফাইলিং কোনো ব্যাপার না। আসল ঘটনা হইল, পানি উন্নয়ন বোর্ড টাক-পয়সা খাওয়ার ধান্ধায় ব্রিজের নিচ দিয়া খাল খননের প্রকল্প হাতে লইছে। প্রকল্পের নামে টাকা-পয়সা হালাল করতে যাওয়ার কারণেই এই দুর্দশা ঘটছে।

: যাক, ভাগ্য ভালো; তবুও একটা তাবিজ পাইছস। এই তাবিছ দেখাইয়া হয়তো সরকার বাহদুরের কাছ থেইকা মাফ পাইয়া যাবি। কিন্তু হেকু-আমার হাত থেইকা তো তোর মাফ নাই।

: তুই আবার কী করবি?

: আগে ভাওয়াল গাজীপুর পৌঁছাই। তারপর জানাইতেছি-কী পদক্ষেপ নিতে যাইতেছি।

: ভাওয়াল গাজীপুরে কী কাজ? বন দখলের পাঁয়তারা করতেছস না তো আবার!

: আরে না!

: তাইলে?

হেকমত আলীর প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগে দালেবর হাকিম আপনমনে কিছুক্ষণ হাসলেন। তারপর চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন-

: তুই আমারে যে বাঁশটা দিছস, বন্ধু হিসাবে তার একটা প্রতিদান তোর প্রাপ্য, তাই না? প্রতিদানের বস্তু সংগ্রহের জন্যই ভাওয়াল গাজীপুরে রওনা হইতেছি। সেখানে যাওয়ার পর সবচাইতে বড় গজারি গাছটা তোর জন্য বাছাই করব। বুঝলি হেকু, আরব দেশে রক্তের বদলে রক্ত, দাঁতের বদলে দাঁত দেওয়ার সিস্টেম চালু আছে। কিন্তু এইটা আরব দেশ না। এইটা বাংলাদেশ। বাংলাদেশে বাঁশের বদলে বাঁশ নয়; শাখা-প্রশাখাসহ আস্ত গজারি গাছ দেওয়ার নিয়ম।

লেখক: মোকাম্মেল হোসেন : সহকারী সম্পাদক, যুগান্তর

 

সূত্র : ১৩ জুন, দৈনিক যুগান্তর 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি - dainik shiksha পরীক্ষার আগেই হবু শিক্ষকদের হাতে পৌঁছে যায় উত্তরপত্র: ডিবি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0047638416290283