দৈনিক শিক্ষাডটকম, দিনাজপুর : রাতের আঁধার কেটে দেখা দিয়েছে দিনের আলো। তীব্র শীতের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়ে চারপাশ ঢেকে গেছে ঘন কুয়াশায়। রাতভর বৃষ্টির মতো অঝরে পড়েছে ঘন কুয়াশা। আশপাশের সবুজ গাছের পাতা গুলো থেকে অঝরে ঝরছে পানি। ঘন কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সড়ক-মহাসড়কের যানগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দরিদ্র অসহায় মানুষেরা তীব্র শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালাচ্ছে। তীব্র শীতে থরথর করে কাঁপছে দিনাজপুরবাসী।
রোববার এমন চিত্রই দেখা মেলে দিনাজপুরে। তীব্র শীতে দিনাজপুরের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অফিস জানায়।
বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা সবজিবাহী ট্রাকের চালক আবুজার রহমান বলেন, ঠান্ডায় হাত কাজ করে না, সামান্য সামনে কিছু দেখাও যাচ্ছে না। হেডলাইট না জ্বালালে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কুয়াশার ঘনত্ব এতোটাই তীব্র যে, ৫-৬ হাত দুরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। তীব্র এই শীত-কুয়াশায় একটু রোজগার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথচলা।
দিনাজপুর শহরের শষ্টিতলা মোড়ে কাজে আসা মোকছেদ আলী বলেন, খুবই শীত পড়েছে। মোটা কাপড় না থাকায় শীতের হাত থেকে বাঁচতে একটু আগুন জ্বালিয়েছি। শীতের মধ্যে কাজ করা খুবই কষ্টকর। আমরা দিনমজুর একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত জুটবে না। সকাল থেকে বসে আছি কাজের সন্ধানে। তীব্র শীতের মধ্যে কাজ পাওয়া যায় না। শনিবার কোনো ধরনের কাজ না পেয়েই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। আজ কপালে কি আছে আল্লাহই জানেন। একে তো শীত তার মধ্যে আয়-ইনকাম না থাকলে বাঁচবো কেমনে?
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, রোববার সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। এর আগে সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ৯০ শতাংশ।
তিনি জানান, আগামী ১৮-২০ জানুয়ারির মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত হলে শীতের তীব্রতা কমতে পারে। তবে দু-এক দিনে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।