দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : পূর্ণ সূর্যগ্রহণের সময় এগিয়ে আসছে। আগামী ৮ এপ্রিল মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মানুষ এটি দেখতে পাবেন। ওই দিন সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। ফলে কিছুক্ষণের জন্য দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার।
সবশেষ ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল উত্তর আমেরিকায়। এবারের পর ২০৪৪ খ্রিষ্টাব্দের আগে এমন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দেখা আর মিলবে না। ফলে এই চমকপ্রদ সূর্যগ্রহণ দেখতে অধীর অপেক্ষায় রয়েছে কয়েক মিলিয়ন মানুষ।
‘মর্ত্যলোকেই’ শুধু নয়, এই সূর্যগ্রহণ দেখার অপেক্ষায় ‘আকাশবাসী’ মানুষেরাও। খবর আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিনেটের।
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা জানিয়েছে, তাদের মহাকাশচারীরা এই সূর্যগ্রহণ দেখবেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে। পৃথিবী থেকে একবার দেখা গেলেও মহাকাশ স্টেশন থেকে এই গ্রহণ দেখা যাবে একাধিকবার।
বিবৃতিতে নাসা জানায়, সূর্যগ্রহণ চলাকালে পৃথিবীর পৃষ্ঠজুড়ে ট্র্যাক করবে মহাকাশ স্টেশন। মহাকাশচারীরা মোট তিনবার সূর্যগ্রহণের দৃশ্য দেখতে পারবেন। প্রথমবার যখন দেখতে পাবেন তখন মহাকাশ স্টেশনটি প্রশান্ত মহাসাগরের ওপরে থাকবে। এরপর নিউজিল্যান্ড এলাকা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া ও আইডাহোর দিকে যাওয়ার সময় দেখতে পাবেন। মহাকাশ স্টেশনটি যখন মেইন এবং নিউ ব্রান্সউইকের ওপরে অবস্থান করবে তখন পূর্ণ সূর্যগ্রহণের মুখোমুখি হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সূর্যগ্রহণ হবে।
এই সূর্যগ্রহণ শুরু হবে মেক্সিকোতে। এরপর তা ধীরে ধীরে সরে আসবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো এবং ক্যারিবীয় অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে এ দৃশ্য দেখা যাবে। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চল থেকে এর দর্শন মিলবে না।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের সূর্যগ্রহণ খুবই বিরল। পূর্ণ সূর্যগ্রহণের দিন সূর্যোদয় বা সূর্যাস্তের মতো আকাশ অন্ধকার হয়ে যাবে। মূলত, সূর্য ও পৃথিবীর মাঝখানে চাঁদ এলে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। নির্দিষ্ট সময় সূর্যকে সম্পূর্ণভাবে অবরুদ্ধ করে ফেলে এটি। এতে সম্পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়। ফলে আকাশ হালকা অন্ধকার হয়ে যায়। সে সময়কে ভোর বা সন্ধ্যার মতো মনে হয়।
প্রতি ১৮ মাস পর পর পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে আসে চাঁদ। সে সময় সূর্যের রশ্মিকে পৃথিবীতে পৌঁছাতে বাধা দেয় এ উপগ্রহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সূর্যগ্রহণ হয়। নাসার তথ্য অনুসারে, ৩৭৫ দিন পরপর পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে কখনো আরও বেশি সময়ও লাগতে পারে।