শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ২ নেতাকে মারধরের ঘটনায় এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনের বক্তব্য নিয়েছে তদন্ত কমিটি। তাদের মধ্যে বরখাস্ত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদ ও সানজিদা আফরিনও রয়েছেন। এ ছাড়াও নির্যাতনের শিকার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমসহ আরও কয়েকজন ছাত্রনেতারও জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গেও কথা বলবে তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবাবের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, এরই মধ্যে কয়েকজন সাক্ষীকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজও নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক, নিরাপত্তাকর্মীদেরও বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। সবার বক্তব্য যাচাইবাচাই করে এ ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল, সেটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, হাসপাতাল থেকে নেওয়ার পর শাহবাগ থানার ওসির কক্ষে আটকে ছাত্রলীগের ২ নেতাকে মারধর করে পুলিশ। এডিসি হারুনের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার পরিদর্শক গোলাম মোস্তাফাসহ বেশ কয়েক পুলিশ সদস্য মারমুখী ভূমিকায় ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হকের সঙ্গে এডিসি হারুনের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ছাত্রলীগের ২ কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধর করা হয়। ঘটনার দিন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন এডিসি সানজিদা। সেখান থেকেই ঘটনার সূত্রপাত হয়। দুই পক্ষের মধ্যে মারধর ও হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর হারুনকে বরখাস্ত করা হয়। এর এক দিন পর শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও বদলি করা হয়।
এদিকে পুরো বিষয় খতিয়ে দেখতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ডিএমপি তিন সদস্যের বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ডিএমপি সদরপ্তরের উপ-কমিশনার আবু ইউসুফকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়।