নরসিংদীর শিবপুরে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মনির হোসেন (২২) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত ২৫ জন যাত্রী। এদের মধ্যে ৪ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কারারচরে বৈশাখী স্পিনিং মিলের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত মনির হোসেন কিশোরগঞ্জ জেলার দুলাল হোসেনের ছেলে।
গুরুতর আহতরা হলেন, কেয়া আকতার (২২), আমিনুল ইসলাম (৩৭), সালাউদ্দিন (৩৫), আকতার (৪০), জোয়া (৩০), হেদায়েত উল্লাহ (১১), অনামিকা (২২), নাদিয়া (৫০), কাদির (৩৩), মমতাজ আলী (৬৫), শিল্পী (৩৫), তামান্না (১৯) কামরুল (২০), হনুফা (৩৮), নূর মোহাম্মদ (২৫), আলমগীর (২৭), বাবুল মিয়া (২৬), ইমন (১৪), সাদীর (৩৮), নূরুল ইসলাম (১৯), ইয়াছিন (১৬) ও মাহিদুল (১৮)। এরা সবাই কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকালে গাউছিয়া থেকে শ্রমিকবাহী একটি মিনিবাস গাউছিয়া থেকে কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলো। আর সিলেট থেকে যাত্রীবাহী বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছিলো। বাস ও মিনিবাস ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার কারারচরে বৈশাখী স্পিনিং মিলের সামনে পৌঁছলে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ইটাখোলাগামী মুরগিবাহী একটি ভ্যানও পেছন থেকে মিনিবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে বাস ও মিনিবাসের সামনের অংশ একেবারে দুমড়ে মুচড়ে যায়। এসময় প্রায় ২৫ জন যাত্রী আহত হয়। পরে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নিয়ে গেলে মনির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। এদের মধ্যে ৪ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নরসিংদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মো. রায়হান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা ৯৯৯ এবং স্থানীয়দের ফোনের মাধ্যমে দূর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করি। এসময় স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ইটাখলা হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক নূর হায়দার তালুকদার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে গাড়ি দুইটি জব্দ করে ফাড়িঁতে নিয়ে আসা হয়েছে। আর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।