দুই ভুয়া পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ড, একজনকে অর্থদণ্ড

দৈনিক শিক্ষাডটকম, শেরপুর |

দৈনিক শিক্ষাডটকম, শেরপুর : শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় প্রক্সি দেয়ার অপরাধে দুজনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক ভুয়া শিক্ষার্থীকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ঝিনাইগাতী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল কবীর এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-উপজেলার সারিকালিনগর গ্রামের  আব্দুল মান্নানের ছেলে এনামুল হক (২৪), দিঘীরপাড় গ্রামের মো. ছামিউল হকের ছেলে মো. হানিফ (১৯) ও সারিকালিনগর গ্রামের জান্নাতুল ফেরদৌস (২১)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, ভুয়া পরীক্ষার্থী এনামুল হক তার বন্ধু এসএসসি পরীক্ষার্থী শ্রী রতন রবি দাস, মো. হানিফ তার বন্ধু পরীক্ষার্থী মো. বিল্লাল হোসেন ও জান্নাতুল ফেরদৌস তার মা নুরুন্নাহারের পরিবর্তে এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখার রসায়ন-২ (১৯২৬) এর প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। পরীক্ষার্থীরা উপজেলার আহাম্মদনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি (ভোকেশনাল) শাখার শিক্ষার্থী ছিলেন। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল কবীর জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে একজন পরীক্ষার্থীর আচরণে সন্দেহ হয়। পরে কেন্দ্র সচিব মো. আব্দুল হামিদের সহায়তায় তখন সব শিক্ষার্থীর কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায় এনামুল হক, হানিফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস পরীক্ষার্থী সেজে প্রক্সি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এনামুল হক ও মো. হানিফকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডসহ  ১০০ টাকা করে অর্থদণ্ড এবং জান্নাতুল ফেরদৌসকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0051140785217285