দুই মেয়ে ফেল করার খবর শুনে শিক্ষকের মৃত্যু

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি |

এইচএসসি পরীক্ষায় দুই মেয়ের ফেল করার খবর শুনে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের আব্দুল হাদি মৌজার বাহারবন্ধ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষকের নাম আবদুল গফফার মিয়া। তিনি একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। তার দুই মেয়ে গিনি ও পিংকী এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেও কৃতকার্য হতে পারেননি। দলদলিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আজিজুল ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে শিক্ষক আবদুল গফফারের মৃত্যুর বিষয়টি  নিশ্চিত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার এইচএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা হয়। মাদরাসা শিক্ষক আবদুল গফফার মিয়ার দুই মেয়ে গিনি ও পিংকী এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিতে গিয়ে জানতে পারেন তারা উভয়ে অকৃতকার্য হয়েছেন। 

প্রতিবেশী আব্দুল মতিন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ফল শুনে বাসায় ফিরে অকৃতকার্য হওয়ায় দুই বোন কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তাদের বাবা আব্দুল গফফার মাদরাসা থেকে বাসায় ফিরে বুঝতে পারেন তার দুই মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। এ খবর শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন শিক্ষক। রাগান্বিত অবস্থায় ঘরে ঢুকে জামা- কাপড় খুলতেই মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এরপর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে তোলার চেষ্টা করলে সেখানেই তার মৃত্যু ঘটে। 

স্থানীয় চিকিৎসকরা বলছেন  হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ তার মৃত্যু ঘটেছে। 

জানা গেছে, শিক্ষক আব্দুল গফফারের দুই মেয়ে গিনি ও পিংকী দুই বোন রাজারহাট ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আশরাফুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এ খবর থানায় আসেনি।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ - dainik shiksha ইউএনওর ‘মানসিক নির্যাতনে’ শিক্ষকের মৃত্যুর অভিযোগ শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতির সভা ১৮ সেপ্টেম্বর সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! - dainik shiksha নাহিদ-দীপুর ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিই মাউশি অধিদপ্তরের ডিজি হচ্ছেন! শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- জানতে চায় অধিদপ্তর এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস - dainik shiksha এক ফ্যাসিস্টকে দেশ ছাড়া করেছি অন্যকে সুযোগ দেয়ার জন্য নয়: সারজিস কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0050499439239502