দুই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বাউবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দৈনিকশিক্ষাডটকম, বাউবি |

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। আইন প্রোগ্রামের সনদ জালিয়াতি, ভর্তি পরীক্ষার ফলে অনিয়ম, ২০০৫-এ চালু হওয়া ‘স্কুল অব ল’ স্থগিতকরণসহ বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার ও তদন্ত করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাউবি শাখা।

গতকাল সকালে শিক্ষার্থীরা এসব দাবিতে গাজীপুরের বোর্ড বাজারে মূল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দুই শিক্ষক অধ্যাপক নাহিদ ফেরদৌসী ও সহকারী অধ্যাপক বায়েজিদ হোসেন আইন বিভাগের সনদ জালিয়াতি, ভর্তি পরীক্ষার ফলে অনিয়ম, কর্তব্যে অবহেলা ও ছাত্র নিপীড়নে জড়িত। তারা এসব শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ বিভাগীয় তদন্ত পরিচালনা সাপেক্ষে অব্যাহতি এবং স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানান।

আইন প্রোগ্রামের অষ্টম ব্যাচের শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম  বলেন, ‘আমাদের এ দুজন শিক্ষক বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের ভয়-ভীতি দেখাতেন। সেমিস্টার ফাইনালে তারা আমাদের টার্গেট করে নিম্ন সিজিপিএ দেন। ব্যাচভিত্তিক  গড় সিজিপিএ ২ দশমিক ৫০-২ দশমিক ৮০ করে রাখেন, যা সম্পূর্ণ অন্যায় এবং বেআইনি।’

মুক্তা ফাতেমা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘মাত্র ৭০ হাজার টাকায় সনদ জালিয়াতির ঘটনায় আমাদের সিনিয়র ভাই-বোনদের ইন্টিমেশন সংক্রান্ত সব কার্যক্রম বার কাউন্সিল স্থগিত রেখেছে। চার মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোনো ইতিবাচক উদ্যোগ নেয়া হয়নি। সনদ জালিয়াতির ঘটনার দায়ভার এ দুই শিক্ষক কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এখন থেকেই আইন প্রোগ্রামের সব কার্যক্রম থেকে ওই দুজনকে অব্যাহতি দিতে হবে।’

নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহসান বলেন, ‘বাউবিতে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দের “‍স্কুল অব ল” চালু করা হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কোনো কারণ ছাড়াই স্কুল অব ল সামাজিক বিজ্ঞান মানবিক ও ভাষা স্কুলের অধীনে দেয়া হয়, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অযৌক্তিক। এমনকি পরে সামাজিক বিজ্ঞান মানবিক ও ভাষা স্কুল থেকে “‍স্কুল অব ল” আলাদা করার সুপারিশ করা হয়। কিন্তু অধ্যাপক নাহিদ ফেরদৌসী ও সহকারী অধ্যাপক বায়েজিদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণ না করে “‍স্কুল অব ল” আটকে রাখেন। কারণ তারা বাউবিতে শিক্ষাদানে সময় দেন না। সপ্তাহে মাত্র একদিন  সময় দেন। তারা অন্যান্য জায়গায় কাজ করেন এবং বাউবিকে পার্ট টাইম জবের অংশ মনে করেন।“


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবি কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha কারিগরি শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের এমপিওর চেক ছাড় সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা - dainik shiksha সরকারি কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার - dainik shiksha স্কুল-কলেজে বেতন ছাড়া সব ফি বেঁধে দিলো সরকার সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha সব শিক্ষকের স্বার্থ সংরক্ষণ করে বদলির নীতিমালা : সাক্ষাৎকারে শিক্ষা উপদেষ্টা ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম - dainik shiksha ঢাবিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত - dainik shiksha ক্যামব্রিয়ানের বাশারকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: অষ্টম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক - dainik shiksha ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা কল্যাণের হবে না: ছাত্রদল সম্পাদক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024561882019043