বহুল আলোচিত পাটকল শ্রমিক জাহালমের পর এবার দুদকের ভুল তদন্তের শিকার নোয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের সহকারী নিরপরাধ মো. কামরুল ইসলাম।
শিক্ষাগত সনদ জালিয়াতির মামলায় ১৫ বছরের সাজা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন তিনি।
তবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ ঘটনায় হাইকোর্টের কাছে ভুল স্বীকার করেছে। এ অবস্থায় বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী বৃহস্পতিবার পরবর্তী শুনানি ও রায়ের জন্য রেখেছেন।
দুদকের একই ধরনের ‘সরল বিশ্বাসে’র তদন্তের জেরে এর আগে ১ হাজার ৯২ দিন জেল খেটে মুক্তি পান নিরাপরাধ জাহালম। ২০১৯ সালে জাহালমের সাজা খাটার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশের পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। উচ্চ আদালত জাহালমকে মুক্তির আদেশ দেওয়ার সময় দায়িত্বহীনতার জন্য দুদককে তিরস্কার করেছিল।
কামরুলের বিষয়ে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন যে সরল বিশ্বাসে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে।
তিনি বলেন, কামরুল ইসলাম যে কলেজে ভর্তি হয়, সেখানে তার ছবি ছিল। ঠিকানা পশ্চিম রাজারামপুর লেখা ছিল। এরপরও দুদকের কর্মকর্তারা ভুল ঠিকানা ব্যবহার করে। একারণে তিনি রিট আবেদন করেছেন।