দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : রমজান এলেই দুবাইয়ের বিভিন্ন মসজিদে কর্মরত ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের কোনো না কোনো সুসংবাদ দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। নানামুখী সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয় তাদেরকে। যেখানে এসব পেশায় যুক্ত রয়েছেন বহু বাংলাদেশিও। এবার রমজানে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের বেতন বৃদ্ধির সুখবর দিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ।
ক্রাউন প্রিন্সের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব ইমাম ও মোয়াজ্জিন দুবাইয়ের ইসলাম বিষয়ক ও দাতব্য কার্যক্রম বিভাগের অধীনে কাজ করেন শুধু তাদেরই বেতন বাড়বে।
দেশটির শীর্ষ গণমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমাজে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের যে ভূমিকা রয়েছে বেতন বাড়ানোর মাধ্যমে সেটিকে আরও বেশি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। মসজিদে ইমামের নেতৃত্বে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে থাকেন। অপরদিকে মোয়াজ্জিনরা আজান দিয়ে মানুষকে নামাজে আসার আহ্বান জানান।
এদিকে, দুবাইয়ে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের বেতন বাড়ানোর নির্দেশে লাভবান হবেন অনেক বাংলাদেশি। কারণ, আরব আমিরাতে ৭০ ভাগ মোয়াজ্জিন বাংলাদেশি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাচীনতম ফুজাইরা আল বিদিয়া মাটির মসজিদ ও আবুধাবিতে নির্মিত বৃহত্তম শেখ জায়েদ মসজিদ ছাড়াও আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আল আইন, ফুজাইরা, আজমান ও রাস আল খাইমা প্রদেশে বড়-ছোট মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার মসজিদ রয়েছে। প্রতিটি মসজিদে ইমামের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন একজন করে মোয়াজ্জিন। এই মোয়াজ্জিনদের ৭০ ভাগই প্রবাসী বাংলাদেশি। তারা মোয়াজ্জিন হলেও পান ইমামের মর্যাদা। এমনকি ইমাম পেশা রেখেই ভিসা ইস্যু করা হয় তাদের।
এসব মোয়াজ্জিনদের বেতন ধরা হয় বাংলাদেশি টাকায় প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। এ ছাড়া পাওয়া যায় উন্নত থাকার ব্যবস্থা। সন্তানদের পড়ালেখার ক্ষেত্রেও দেওয়া হয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা। গত রমজানে ইমাম-মোয়াজ্জিনদের ১০ বছর মেয়াদী গোল্ডেন ভিসা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করা হয়।