আসন্ন দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বুধবার (২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস স্মারকের মাধ্যমে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাঠ প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব এবং আনসার ও ভিডিপি কর্তৃক দৃশ্যমান টহল জোরদার এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়াতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে;
২. যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। অপ্রত্যাশিতভাবে কোনো ঘটনার সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে;
৩. শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পূজামণ্ডপগুলো পরিদর্শন করতে হবে;
৪. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এরূপ কোনো বক্তব্য বা গুজব ছড়ানোর বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে;
৫. সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটিগুলোকে পূজামণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও পাহারাদার (পালাক্রমে দিনে কমপক্ষে ০৩ জন এবং রাতে ০৪ জন) নিয়োজিত করতে হবে;
৬. প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে;
৭. শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপন উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ বাহিনীর সদস্য, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, র্যাব এবং অন্যান্য বাহিনীর সদস্য মোতায়েন নিশ্চিত করতে হবে;
৮. শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে হিন্দু ধর্মালম্বীদের পাশাপাশি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা বিধানে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ও ছাত্র-জনতাকে অন্তর্ভুক্ত করে মনিটরিং কমিটি গঠন করতে হবে। জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসকরা এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা এরূপ কমিটি গঠন করবেন।