বান্ধবীকে নিয়ে ঈদের আগের দিন মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়েছিলেন রাহাত কলেজছাত্র হোসেন আসিফ (২৫)। তখন ট্রাকের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে তার বান্ধবীর মৃত্যু হয়। এরপর আজ রোববার সকালে খিলগাঁওয়ের দক্ষিণ গোড়ানের বাসায় তার ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায় । পুলিশের ধারণা, দুর্ঘটনাজনিত মানসিক ধাক্কা এবং বান্ধবীর মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
হোসেন আসিফ রাজধানীর হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের শিক্ষার্থী।
খিলগাঁও থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত কুমার সাহা বলেন, ঈদের আগের দিন শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় আসিফ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ট্রাকের ধাক্কায় তিনি ও তার বান্ধবী আহত হন। বান্ধবীর আঘাত ছিল গুরুতর। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় আসিফের হাত ভেঙে যায় এবং পায়ের একাংশ পুড়ে যায়। চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাসায় ফিরে যান। পরিবারের সঙ্গে তিনি দক্ষিণ গোড়ানের বাসায় থাকতেন। আজ সকালে সেখান থেকেই জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। তার বাবা আমির হোসেন ও মা শাহিনুর বেগম।
পুলিশ জানায়, বান্ধবীর মৃত্যুর জন্য নিজেকেই দায়ী ভাবছিলেন আসিফ। ঘটনার পর থেকেই তিনি বিষাদগ্রস্ত ছিলেন। তার সঙ্গে থাকা এক কাজিনের সঙ্গে এ নিয়ে কথাও বলেছেন। এরপর সকালে তার ঝুলন্ত নিথর দেহ দেখতে পান স্বজনরা। সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আসিফ আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় খিলগাঁও থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে।