মাগুরায় স্কুল বাউন্ডারি দেয়ার নামে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর বাড়িঘর ঘিরে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিবন্ধী আব্দুল মান্নানের পরিবার পড়েছেন ভোগান্তিতে। প্রায় ৬ মাস ধরে মাগুরার মহম্মদপুর থানার তেলিপুকুর গ্রামে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল মান্নানের দাবি, স্ত্রী হাসিয়ারা বেগমের নামের ৬ শতক জমিতে বাড়ি করে ৩০ বছর যাবৎ বসবাস করছেন তারা। তাদের বাড়ির পাশে ঢুষরাইল রেজিষ্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে আপস-মীমাংসা হয়- বিদ্যালয়ের পাশের গর্ত ভরাট করে বাড়ি তৈরির উপযোগী করা হবে। আব্দুল মান্নানের বাড়িঘর ভেঙে ওই জায়গায় নতুন বাড়িঘর করা হবে। তবে গর্ত ভরাট করার কথা থাকলেও সামান্য বালু দিয়ে সেখানে ঘর করতে বলা হয়। কিন্তু দরিদ্র আব্দুল মান্নানের কাছে টাকা না থাকায় গর্ত ভরাট ও বাড়ি সরিয়ে আনতে পারেননি।
এরই মধ্যে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে আব্দুল মান্নানের বাড়িঘর ঘিরে নেয়া হয়। অনেক সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ করে রাখেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আব্দুল মান্নান জানান, ঠিকমত সংসারের খরচই যোগাতে পারেন না। প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় কোনোরকম জীবিকা নির্বাহ করেন।
ঢুষরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হান্নান মোল্যা জানান, সালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি তবিবর রহমান জানান, গ্রামের সবাই মিলে পাশের জায়গা ভরাট করে দেয়া হচ্ছে, সেখানে তিনি বসবাস করতে পারবেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সীমানা প্রাচীর দেয়া হলেও তাদের চলাচলের জন্য গেট খোলা রাখা হয়। তাছাড়া পাশের গর্ত ভরাট করে তাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। আর তার চলাচলের জন্য উপযোগী রাস্তা রাখা হয়েছে।