বিরোধী দলীয় জোট ‘ইন্ডিয়া’ সনাতন ধর্মের বিনাশ চায়, তারা দেশকে ১ হাজার বছরের দাসত্বের দিকে ঠেলে দিতে চায়। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের একটি সমাবেশে এ কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সনাতন ধর্ম সম্পর্কে ডিএমকে নেতা উদয়নিধি স্তালিনের মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে এটি তার প্রথম প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া।
বিরোধী জোটের উদ্দেশে নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘তারা সম্প্রতি মুম্বাইতে একটি মিটিং করেছে এবং আমি মনে করি তারা সেখানে ‘ঘামন্দিয়া’ (অহংকারী) জোট কীভাবে চালাতে হবে তার নীতি ও কৌশল ঠিক করেছে। তারা একটি গোপন এজেন্ডাও নিয়েছে। কৌশলটি ভারতের সংস্কৃতিকে আক্রমণ করার। ভারতীয়দের বিশ্বাসকে আক্রমণ করার এবং হাজার বছর ধরে দেশকে একত্রিত করে এমন চিন্তা, মূল্যবোধ এবং ঐতিহ্যকে বিনাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।’
ভারতের নায়কদের এবং সনাতন সংস্কৃতির মধ্যে একটি যোগসূত্র আঁকতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘামন্দিয়া’ জোট সনাতন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে শেষ করার সংকল্প করেছে যা দেবী অহিল্যাবাঈ হোলকারকে অনুপ্রাণিত করেছিল। সনাতনের শক্তি বলে ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই ব্রিটিশদের চ্যালেঞ্জ করে বলতে পেরেছিলেন তিনি ঝাঁসি ছাড়বেন না।’
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, মহাত্মা গান্ধী সনাতন ধর্মকে তার জীবনের অপরিহার্য বলে মনে করেছিলেন। তিনি সারাজীবন ভগবান রামের দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন। তার শেষ কথা ছিল ‘হে রাম’।
নরেন্দ্র মোদি আরও বলেছেন, স্বামী বিবেকানন্দ এবং লোকমান্য তিলকও সনাতন দ্বারা অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং এই সংস্কৃতিই ব্রিটিশদের ফাঁসিতে ঝুলে থাকা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের এই সাহস দিয়েছিল যার কারণে তারা আবার ‘ভারত মায়ের কোলে’ জন্ম নিতে চায়। আগামী দিনগুলোতে, তারা আমাদের ওপর তাদের আক্রমণ বাড়াবে। প্রত্যেক সনাতনী, প্রত্যেক ব্যক্তি যারা এই দেশকে ভালোবাসে, যারা এই দেশের মানুষকে ভালোবাসে; আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। তারা সনাতনকে ধ্বংস করতে চায়। দেশকে হাজার বছরের দাসত্বে ফিরিয়ে নিতে চায়। কিন্তু আমাদের এক হয়ে এই ধরনের শক্তিকে রুখতে হবে। আমাদের সংগঠনের শক্তির মাধ্যমে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন তাদের কৌশল সফল না হয়।’