দেশে আদর্শ ও নীতিবান শিক্ষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এটি কাম্য নয়। রাজনীতির পথে না হেঁটে, যথার্থ শিক্ষা দেয়ার মাধ্যমে ভবিষৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহবান জানান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।
শুক্রবার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম)-এ শিক্ষকদের জন্য সিইডিপি আয়োজিত পেডাগোজি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন দেশের শিক্ষা-ভেঙে পড়েছে, আর এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। চাই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। তিনি বলেন, শিক্ষকদের আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে শিক্ষাদান ব্যাহত হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের অধিকতর সামজিক মূল্যবোধ সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ। এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এ এস এম আমানুল্লাহ আরো বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে, এটা খুব আশাপ্রদ আমাদের কাছে। শিক্ষার মানোন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একযোগে কাজ করতে চায় কয়েকটি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা। অতীতে সম্ভব না হলেও, এখন সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, সময় এসেছে সবার সচেতন হওয়ার। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট বা কর্মসংস্থান ও আয়োপযোগী জনগোষ্ঠীর বিভাজনে দেশ যে ভয়াবহ বিপর্যয়ে পড়তে পারে, তা আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেখেছি।
প্রকল্প পরিচালক কাজী মো. আব্দুর রহমান বলেন, পর্যবেক্ষণ ও সম্ভাব্য সমাধান নির্ণয়ের জন্য ট্রেইনি শিক্ষকদের একটি সংক্ষিপ্ত ফিডব্যাক রিপোর্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস এম হাফিজুর রহমান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত প্রায় ১ হাজার ৬০০ কলেজ শিক্ষকদের সিইডিপি আয়োজিত পেডাগোজি বিষয়ক এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানের অন্য বক্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদের জন্য সচেতনতা প্রোগ্রাম বা সচেতনতা তৈরি সংক্রান্ত শিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। সিইডিপি আয়োজিত ২৮ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মাঝে প্রশিক্ষণোত্তর সনদ দেয়া হয়।