সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, 'আমি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেছি ঠিকই; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি। তাই আমি আওয়ামী লীগে আছি। আওয়ামী লীগ আমার প্রাণের সংগঠন, আমার রক্তের সঙ্গে মিশে আছে।'
তিনি বলেন, 'আমি আজ নোয়াখালী, ফেনী ও কোম্পানীগঞ্জের অপরাজনীতিবিদদের কিছু বলব না। তাদের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমার আন্দোলন হচ্ছে এ দেশের ধনিক শ্রেণির যে রাজত্ব চলছে, এটির পরিবর্তন আনা। সে রাজত্ব থেকে দেশকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এ দেশের গরিব-দুঃখী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।'
রোববার বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে তার অনুসারী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আপনারা আজ থেকে আমার নামে আর কোনো স্লোগান দেবেন না। স্লোগান দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে। আজকে আমি কারও বিরুদ্ধে কথা বলব না, আপনারাও বলবেন না।'
কোম্পানীগঞ্জে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, 'আমি আর কোম্পানীগঞ্জে অশান্তি, হানাহানি ও সহিংসতা চাই না। আপনারা অপরাজনীতি ছেড়ে আমাদের মূলধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুন, আমরা আপনাদের স্বাগত জানাব।'
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু নাছেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুছ, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তাশিক মির্জা কাদের, কোম্পানীগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমা আক্তার শিফা, বসুরহাট পৌরসভা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পারভীন আক্তার, সহসভাপতি আক্তার জাহান বকুল, সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াছমিন মুক্তা প্রমুখ।
পরে আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, বসুরহাট পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি পুনর্গঠন করেন। এর আগে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে ও ওবায়দুল কাদেরের সহযোগিতায় কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং বসুরহাট পৌরসভার গৃহহীনদের মাঝে গৃহ নির্মাণের জন্য ছয় লাখ টাকা বিতরণ করেন।