প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‘আমরা একটা বিশেষ সময় পার করছি। আমরা একটা সংশয়ে ছিলাম যে শারদীয় দুর্গোৎসবটা কিভাবে হবে। সরকার এ ব্যাপারে কনসার্ন ছিল, যাতে দুর্গোৎসব ভালোভাবে উদযাপিত হয়, মানুষ যাতে আনন্দের সাথে উদযাপন করতে পারে।’
আমাদের প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছে।
যাতে দুষ্কৃতকারীরা কোনোরকম দুষ্কৃত ঘটনা ঘটাতে না পারে। আশার কথা, এখন পর্যন্ত সারা দেশের পরিস্থিতি ভালো। আশা করি, আগামীকাল প্রতীমা বিসর্জন পর্যন্ত কোনো অঘটন ঘটবে না।’
শনিবার (১২ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মানিকগঞ্জের সিংগাইরস্থ সানাইলে শ্রী শ্রী সার্বজনীন কালী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সমবেত ভক্ত ও পূজারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ড. কমল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা এবং পুলিশ সুপার মো. বশির আহমেদ বক্তব্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘এ সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে বিশ্বাস করে। এ সরকার বিশ্বাস করে, ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয়। রাষ্ট্র সবার জন্য।
রাষ্ট্রের কাছে সবাই নাগরিক। ফলে সব নাগরিক সমান সুবিধা ভোগ করবে। সরকার নাগরিকদের অধিকার রক্ষার চেষ্টা করবে। নাগরিকদের কাছেও সরকারের আকাঙ্ক্ষা থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল কালচার বা সংস্কৃতি হলো, সহনশীলতার সংস্কৃতি।
উৎসবমুখর সংস্কৃতি। যুগ যুগ ধরে আমাদের দেশে বিভিন্ন ধর্মের লোকজন পাশাপাশি বসবাস করছে। ভাইয়ের মতো বসবাস করছে। একে অন্যের উৎসবে যোগ দিয়েছে। উৎসবকে সবাই উপভোগ করছে। আমরা চাই সেই ঐতিহ্য বহমান থাকুক এবং আমাদের এই সম্প্রীতি ও সামাজিক সংহতি যেন দুষ্কৃতকারীদের রুখে দিতে পারে। সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সামাজিক সম্প্রীতি গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। এটি একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। কারণ শান্তি ও সম্প্রীতি না থাকলে দেশের উন্নতি হতে পারে না। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালেই দেখতে পাই। দেশের সমৃদ্ধির জন্য আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা প্রয়োজন।’