আমরা যারা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট চেয়ারে বসে আছি, আমাদের জন্য হেল্পফুল একটি মিডিয়া হলো দৈনিক শিক্ষাডটকম। আমরা যেখানে যেতে না পারি, দৈনিক শিক্ষাডটকম সেখানে ঢুকে আমাদেরকে তথ্য দেয়। তারা আমাদের সবচে’ বড় সহযোগিতা করে। অন্ধকার পথের মধ্যে কিভাবে আলো জ্বালাতে হয়, দৈনিক শিক্ষাডটকম আমাদের তা বলে দেয়। ফলে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হয়।
এ মূল্যায়ন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ-এর। শনিবার (১১ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দৈনিক শিক্ষাডটকমের যুগপূর্তির মিলন মেলায় তিনি এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দৈনিক শিক্ষা আমাদের জন্য বিশেষ অবদান রাখছে।
দৈনিক শিক্ষাডটকম শিক্ষাবিদ, সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সংস্কৃতিসেবী ও সুধিজনদের নিয়ে দিনব্যাপী মিলন মেলা আয়োজন করে। দেশাত্বকবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তির ফাঁকে এ মেলায় শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম আরো বেশি কার্যকর ভূমিকার রাখবে : দুদক কমিশনার
বক্তব্যের শুরুতে অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, প্রথমেই যুগপূর্তি উপলক্ষে দৈনিক শিক্ষা ডটকম এর পাশাপাশি দৈনিক আমাদের বার্তা পরিবারকে শুভেচ্ছা জানাই। এই পুরো পরিবারকে আমি জানি। এদের ভেতরে একটা আত্মিক সম্পর্ক আছে। দুই পরিবার আসলে একই। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের শিক্ষা সম্পর্কিত কথাবার্তা নিয়ে অনলাইন পত্রিকা, দৈনিক শিক্ষা ডটকম। আরেকটি কাগজে ছাপা পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা। একই পরিবারের দু’টো পত্রিকা। সাধারণত এই রিস্কটা কেউ নেয় না। কারণ, আপনারা জানেন, শুধু শিক্ষা নিয়ে নিউজ করা কতোটা কঠিন। কারণ, এটা অতোটা ব্যবসায়িক সাফল্য আনে না। দৈনিক পত্রিকা করতে অনেক খরচ। অন্যান্য পত্রিকায় শিক্ষার খবর এতোটা গুরুত্ব দিয়ে ছাপে না। তারা ছাপে ভেতরের পাতায়, কিন্তু আমাদের দৈনিক শিক্ষাডটকম নিয়মিত কাজটা করে যাচ্ছে। তাই অনেক অভিনন্দন। অনেক অনেক বেশি অভিনন্দন। এই কাজটির উদ্ভাবক ও কারিগর হচ্ছেন সিদ্দিক ভাই। মানে সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান খান।
শিক্ষাডটকমের খবর তাঁকে সহায়তা করে জানিয়ে মহাপরিচালক আরো বলেন, একটা কথা বলতেই হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির চেয়ারে বসে আমার পক্ষে অনেক কিছু জানা সম্ভব নয়। সব তথ্য আসে না। তাই প্রতিদিন একটা অভ্যাসের মতো হয়ে গেছে, কাজের ফাঁকে একটু দৈনিক শিক্ষাডটকম চেক করি। মানে ভিজিট করি। কোনো বিশেষ কিছু শিক্ষার খবর আছে কিনা। যেটা আমাদের অফিসে বা যেটা আমাদের আওতাভুক্ত। যেখানে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি তার কোনো খবর থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, দৈনিক শিক্ষাডটকম এর খবরে আমি আস্থা রাখতে পারি। তারা সঠিক খবরটা দিতে চেষ্টা করে। ভুল যে হয় না তা নয়। ভুল হলেও পরে তা সংশোধন করে নেয়। এটাই আমাদের আস্থার জায়গা।
তিনি জানান, আমার ধারণা, শুধু আমি নয়, শিক্ষার সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা সবাই প্রতিদিন একবার হলেও দৈনিক শিক্ষাডটকম ভিজিট করেন। দৈনিক শিক্ষাডটকম-এ আমার ছাত্ররা কাজ করে। অবজেক্টিভ দিক থেকে আমি বলবো, দৈনিক শিক্ষা আমাদের জন্য একটা বিশেষ অবদান রাখছে। আমাদের জন্য হেল্পফুল একটি মিডিয়া।
মহাপরিচালক আশা প্রকাশ করে বলেন, দৈনিক শিক্ষাডটকম অনেক এগিয়ে যাক। অন্ধকার পথ, অজানা পথ পেরিয়ে এগিয়ে যাক। আমরা যেখানে যেতে না পারি, দৈনিক শিক্ষাডটকম সেখানে ঢুকে আমাদেরকে তথ্য দেয়। অন্ধকার পথের মধ্যে কিভাবে আলো জ্বালাতে হয়, দৈনিক শিক্ষাডটকম আমাদের তা বলে দেয়। সমস্যা সমাধানের পথ দেখায়। কেবল সমস্যা তুলে ধরেই দায়িত্ব শেষ করে না। আমি আবারো বলবো, দৈনিক শিক্ষাডটকম এগিয়ে যাক।
মহাপরিচালক আরো বলেন, আমি জানি, আপনাদের (দৈনিক শিক্ষাডটকম) একটি নৈতিকতা রয়েছে, এখানে যারা যুক্ত আমরা তাদের অনেককেই চিনি। তারা প্রফেশনাল। বাড়তি কিছু বা যা সত্য নয় তা তারা প্রকাশ করে না। এ পরিবারের নতুন সংযোজন হচ্ছে, দৈনিক আমাদের বার্তা। কাগজে ছাপা শিক্ষা বিষয়ক নতুন পত্রিকা। এখানেও তারা শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। শিক্ষা নিয়ে কাজ করার মানুষ আসলে কম। প্রচলিত পত্রিকায় সবচেয়ে কম জায়গাটা থাকে শিক্ষার জন্য। সেখানে শিক্ষা নিয়ে একটি আলাদা পত্রিকা করা, অনলাইন পত্রিকা করা আমাদের জন্য একটি বিশাল গর্বের ব্যাপার। জয় হোক দৈনিক শিক্ষা ডটকমের। জয় হোক দৈনিক আমাদের বার্তার।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।