দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হলে স্থানীয় সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা দূরের কথা, মেয়র চেয়ারম্যানের পদমর্যাদাও ব্যবহার করতে পারবেন না তারা। স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশের সব মেয়র, চেয়ারম্যানকে এমন নির্দেশনা দিয়ে নির্বাহী আদেশ জারি করেছে। এর অনুলিপি পাঠানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনেও।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইবরাহিম সম্প্রতি নির্বাহী আদেশটি জারি করেছেন। এতে ১০টি নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য বলা হয়েছে। একই সাথে নির্দেশনা অমান্য করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো- স্ব স্ব এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সময়ে সময়ে যেসব আদেশ/নির্দেশ জারি করেছে কিংবা করবে তা প্রতিপালন, নির্বাচনী মিছিল, সভা ও প্রচারণা যাতে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও বিধি অনুযায়ী হয় সে দিকে লক্ষ রাখা, কোনো নির্বাচনী অফিস বা প্রতীক বা পোস্টার নষ্ট করার যেকোনো প্রচেষ্টা রোধে সামাজিক প্রতিরোধ গঠনে সহায়তা করা।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদে এমন কোনো উন্নয়ন স্কিম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন না; যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ভোট প্রাপ্তিতে বা প্রচারণার পক্ষে ব্যবহৃত হতে পারে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অনুদান বা অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিতে পারবে না যা কোনো প্রার্থীর ভোট প্রাপ্তি বা প্রচারণার কাজে প্রভাব বিস্তার করবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনো অফিস, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পত্তি কোনো প্রার্থীর নির্বাচন বা প্রচারণার কাজে কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। মাশুল পরিশোধ করেও ব্যক্তিগত কাজে কোনো যানবাহন ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া যাবে না।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে বা প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্র নির্মাণসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা প্রয়োজন হলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান তা প্রদান করবে এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা তাদের পদমর্যাদা, সরকারি সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না।উল্লেখ্য, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিলে বলা হয়েছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।