দৈনিক শিক্ষাডটকম, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার একটি মহিলা কওমি মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান শিক্ষকসহ ছয়জনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। এতে জড়িত অভিযোগে চার শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন প্রধান শিক্ষক (বড় হুজুর) মো. ইসমাইল হোসাইন (৩৬), সহকারী শিক্ষক মো. আওলাদ ওরফে আসাদুজ্জামান (৪৭), মাসুম বিল্লাহ (৩৫) ও মো. আলামিন (২৫)। এ ছাড়া মামলায় আরও দুই সহকারী শিক্ষককে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মিজানুর রহমান মিজু (৪৩) ও আমেনা বেগম (৩০)। মিজু ও আমেনা পলাতক।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির ফুফা তাকে দেখতে গত বুধবার বিকেলে ওই মাদরাসায় যান। তখন শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে দেখে ধর্ষিত হয়েছে বলে ধারণা করেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সেই রাতেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। গতকালও শিশুটি ওই হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি ছিল।
এ ঘটনায় ওই শিশুর বাবা গতকাল রাতে প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসাইনকে ১ নম্বর এবং অন্য শিক্ষকদের সহযোগী উল্লেখ করে মুকসুদপুর থানায় মামলা করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার দীপ সাহা বলেন, শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আলামত পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।