আগামী ৮ এপ্রিল (শনিবার) দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন করা হবে। ‘স্কাউটিং করবো, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো’ থিমকে সামনে রেখে সারাদেশের ২৪ লাখ ৩৪ হাজার স্কাউট সদস্য, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীরা সারাদেশে দিবসটি উদযাপন করবেন। সংখ্যার বিচারে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্কাউট পরিবার ‘বাংলাদেশ স্কাউটস’ দিবসটি উদযাপনে কেন্দ্রীয়ভাবে এবং বিভিন্ন অঞ্চল, জেলা, উপজেলা ও ইউনিটে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
আগামী ৮ এপ্রিল (শনিবার) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে স্কাউটস দিবস উদযাপনের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত থাকার কথা আছে। আর এদিন সব ইউনিট, উপজেলা, জেলা, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্কাউট পতাকা উত্তোলন, র্যালি সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণীসহ ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় প্রধান কমিশনার ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ড. মো. মোজাম্মেল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কমিশনার (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) এম এম ফজলুল হক আরিফ, স্কাউটস দিবস ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় কমিশনার (স্পেশাল ইভেন্টস্) মোঃ ফসিউল্লাহ্, জাতীয় কমিশনার (প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, উপকমিশনার সুকান্ত অলোক গুপ্ত অলোক, মীর মোহাম্মদ ফারুক, নির্বাহী পরিচালক উনু চিংসহ স্কাউটসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
স্কাউটিং বিশ্বব্যাপী একটি স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষামূলক যুব আন্দোলন। শিশু, কিশোর ও যুবকদের শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, সামাজিক ও বুদ্ধিভিত্তিক উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল, সৎ, চরিত্রবান, দেশপ্রেমিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই স্কাউট আন্দোলনের অন্যতম উদ্দেশ। ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটেনের ব্রাউন্সি দ্বীপে স্কাউট আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা লর্ড ব্যাডেন পাওয়েল স্কাউটিং কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন। বর্তমান বিশ্বের ১৭৩টি দেশের ৪ কোটি ৩০ লাখ শিশু, কিশোর ও যুবকরা স্কাউট প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করে আত্মনির্ভরশীল, পরোপকারী, সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠার মন্ত্রে উজ্জীবিত রয়েছে।
স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৮-৯ এপ্রিল দেশের স্কাউট নেতারা ঢাকায় এক সভায় মিলিত হয়ে গঠন করেন ‘বাংলাদেশ স্কাউট সমিতি’। একই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতির ১১১ নং অধ্যাদেশ বলে ওই সমিতি সরকারি স্বীকৃতি লাভ করে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে স্কাউটিংয়ের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার ১০৫ তম সদস্য। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ জুন জাতীয় কাউন্সিলের পঞ্চম সভায় পুনরায় এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘বাংলাদেশ স্কাউটস’।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় প্রধান কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক জানান, বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় নির্বাহী কমিটি দেশে স্কাউট প্রতিষ্ঠার দিন ৮ এপ্রিলকে ‘বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ হিসেবে উদযাপনে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে এ সিদ্ধান্ত হলেও করোনা মহামারির কারণে প্রথম দুই বছর দিবসটি উদযাপন করা যায়নি। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মতো উদযাপিত হয় স্কাউটস দিবস। এরই ধারাবহিকতায় আগামী ৮ এপ্রিল (শনিবার) দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস উদযাপন করা হবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।