শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, দ্বীনি শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মানে, আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বাংলাদেশে এর আগে যতোগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিলো, কোনো পদক্ষেপই শেষ পযর্ন্ত বাস্তবায়িত হয়নি।
রোববার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনিস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বই পড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ, মেধাবৃত্তি, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং ফাজিল ও কামিল মাদরাসার অবসরপ্রাপ্ত সম্মানিত অধ্যক্ষদের সংবর্ধনা উপলক্ষে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসা শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের কাছে একটা আবেদন, আমরা যাতে করে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা নির্ভর করতে পারি। কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়, আমরা যা-ই পড়াচ্ছি, সেখানে ইংরেজি পড়াচ্ছি, সেটা যোগাযোগের ক্ষেত্রে কতোটা কাজে লাগে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, অনেকেই আছেন আরবি ভাষায় অনেক দক্ষ। যোগাযোগের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের দক্ষ হতে হবে। আমরা কোরআন প্রতিযোগিতা অবশ্যই করবো, আমি নিজেও শৈশবে কেরাত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম। আমার বাবা আমাকে মাখরাজ শিখিয়েছিলেন এবং কীভাবে উপস্থাপনা করতে হয় সেই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। অনেক শিক্ষা আমাদের সমাজ থেকে শিখতে হয়, আমরা বইতে লিখে দিলাম, কিন্তু আমাদের শিক্ষকেরা সামাজিক রক্ষণশীলতা বিবেচনায় সেটা পড়াতে পারবেন কি না-এই প্রত্যাশা করাটা কতোটা সঠিক, সেটা বুঝতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, অমুসলিম দেশও কিন্তু আরবি ভাষা শিখছে, সেটা আমাদের খেয়াল করতে হবে, বাংলা আমাদের রাষ্ট্রভাষা, কিন্তু পাশপাশি অন্যান্য ভাষার প্রতিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রশ্নে যতোটুকু সম্ভব আমাদের অ্যাক্টিভিটি ভিত্তিক কারিকুলাম অনুয়ায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি সময় খোলা রাখতে হচ্ছে। সেটা কীভাবে আমরা সময়-সুযোগ করে কোরআন শিক্ষার যে সুযোগ, আগামী রমজানের আগেই আমরা প্রস্তুতি নেবো, কোরআন শিক্ষা বিশেষ করে রমজান মাসে হয়, সেটা যাতে করে বাধাগ্রস্ত না হয়, এটা আমাদের মাথায় আছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্বদ্যিালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মওলানা মোহাম্মদ হুছামউদ্দিন চৌধুরী, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষানুরাগী সুফি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।