ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরসার সুপার মো. আবদুল আলীর বিরুদ্ধে দ্বৈত পেশায় থেকে নিয়মিত বেতন নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি মাদরাসাটির সাবেক সভাপতি এ সংক্রান্ত অভিযোগ দিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
দৈনিক আমাদের বার্তার হাতে থাকা অভিযোগ থেকে জানা যায়, মাদরাসার সাবেক সভাপতি মো. রজব আলী বলেন, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিদেশে গেছেন। একইসঙ্গে নিয়মিত তুলতেন বেতন-ভাতা।
বেশিরভাগ সময় সভাপতিকে না জানিয়ে চলে যেতেন। একই ঘটনা এর আগের সভাপতি মো. আনছার আলী মালিতা থাকাকালীনও ঘটেছে।
অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক-কর্মচারী চাকরিকালীন একবার হজব্রত পালন ও জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজনে অর্জিত ছুটি ভোগ ছাড়া হজ ব্যবসার ক্ষেত্রে একাধিকবার অর্জিত ছুটি ভোগ করতে পারবে কি না তা এই অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে বিবেচনা করা জরুরি বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।
মাদরসার রেজুলেশন খাতা থেকে সঠিক তথ্য আসবে না বলে দাবি করে সভাপতি মো. রজব আলী বলেন, জালিয়াতি করে এই সুপার আলী সুবিধামতো রেজুলেশন খাতা তৈরি করেছেন। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের তিনবার সৌদি আরবে গিয়েছেন।
এদিকে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে অভিযোগ দিলে বোর্ড মহেশপুর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইয়াসমিন মনিরা বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দিয়েছি তদন্তের জন্য। বর্তমানে তদন্ত চলছে। তদন্তের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
কিবে নাগাদ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে নানা কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। তদন্ত শেষ হলে কর্মকর্তা প্রতিবেদন পাঠাবেন। তদন্ত কর্মকবর্তাকে কোনো সময় বেধে দেইনি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুপার মো. আবদুল আলীকে কয়েকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।