সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেছিল এ সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি। দ্রুত প্রজ্ঞাপনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণার ডাক দিয়েছেন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বা শর্ত সাপেক্ষে উন্মুক্ত প্রত্যাশী চাকরিপ্রার্থীরা।
দ্রুত প্রজ্ঞাপন ঘোষণার দাবিতে আজ (১৯ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রুমান কবির বলেন, আমরা একটি আল্টিমেটাম দিয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব। দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের গঠিত কমিটি বয়স বাড়ানোর সুপারিশ করলেও এখনও প্রজ্ঞাপন জারি করেনি সরকার। আমরা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বলেছেন, তাদের সুপারিশের পর প্রজ্ঞাপনের দায়িত্ব সরকারের। তবে প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি কি অবস্থায় আছে, তা জানা নেই চাকরিপ্রার্থীদের।
গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বয়স বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হয়েছে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে কমিটি করা হয়েছিল। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি সরকার।
এদিন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা রিজওয়ান হাসান বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কাজের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। সে প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সিদ্ধান্ত কী হয়, পরবর্তীতে সেটি জানানো হবে। এছাড়া শিক্ষা কমিশন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গত ১৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা পুরুষের ক্ষেত্রে ৩৫ এবং নারীর ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান এ বিষয়ে গঠিত কমিটির প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, নারীদের বয়সসীমা ৩৭ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে তারা আরও বেশি সুযোগ পান। এ সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি।