ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ৪০ দিন পর বগুড়ার শিবগঞ্জে আহত মাদরাসাছাত্রী মারুফা আক্তার (১৭) অবশেষে মারা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
নিহত মারুফা আক্তার আটমূল ইউনিয়নের নান্দুড়া গ্রামের মাসুদুর রহমানের মেয়ে ও স্থানীয় একটি আলিম মাদরাসার ১০ম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহতের চাচা কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে মারুফার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে সে জ্ঞনা হারিয়ে ফেলে। রাত ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মারুফার মা–বাবা আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। সে বাড়িতে একা ছিল। দুপুরে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবক ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে ভুক্তভোগীর শরীরে পাট ও কাপড় পেঁচিয়ে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে সাইফুল। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ৯ সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় মারুফার বাবা মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন। ঘটনার পরেই স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আসামি সাইফুল ইসলামকে (২৮) গ্রেফতার করে। তবে মামলার আসামি রঞ্জু (৪০) ও নাঈম (২৩) পলাতক রয়েছেন।
মারুফার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী মাদরাসাছাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বগুড়ায় আনার হবে।