ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলাদ পড়তে দেয়নি জিয়াউর রহমান: প্রধানমন্ত্রী

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাদের দুবোনকে দেশে আসতে দেো হয়নি। শুধুমাত্র দেশের মানুষের কথা ভেবে সব বাধা উপেক্ষা করে তিনি ফিরে এসেছেন বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘ওইদিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আমাদের ঢুকতে দেয়নি জিয়াউর রহমান; মিলাদ পড়তেও দেয়নি।’

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (১৭ মে) সকালে গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে গেলে দলের নেতাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব থেকে বড় কথা হলো আমি যখন যাই, তখন কামাল, জামাল, রাসেল -- সবাই এয়ারপোর্টে ছিল। আর আমি যখন ফিরে আসলাম তখন ওরা কেউ নেই। এয়ারপোর্টে হাজার হাজার মানুষ আমাকে নিতে এসেছিল। ৩২ নম্বরে আমরা মিলাদ করতে চাইলাম। কিন্তু জিয়াউর রহমান ঢুকতে দেয়নি।’  

তিনি বলেন, ‘উল্টো বলেছে, গাড়ি দিবে, বাড়ি দিবে। আমি বলেছি, আমি কিছুই নিবো না। খুনির কাছ থেকে আমি কিছু নিতে পারি না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যখন দিল্লিতে ছিলাম, তখন জিয়াউর রহমান দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। লন্ডনে থাকার সময়ও জিয়াউর রহমান দেখা করতে চেয়েছিল, আমরা দেখা করিনি। আর যখন আমি আসলাম, তখন আমাকে ৩২ নম্বরে ঢুকতে দিলো না।’

দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটানোর প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন ফিরে আসলাম তখনও জানতাম না কই থাকবো, কই খাবো। কিন্তু আমার সাথে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার মানুষ ছিল। তারাই আমার শক্তি ছিল। একটা প্রত্যয় নিয়ে এসেছিলাম, আমার আব্বা সারা জীবন কষ্ট করেছে। আওয়ামী লীগের অগণিত নেতাকর্মীরা জেল খেটেছে, কষ্ট করেছে। জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়নি। উল্টো মানুষের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাবো -- মাথায় কেবল এ চিন্তাটাই ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে শেখ মুজিব নেই। কিন্তু এটুকু বলতে পারি তিনি যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার কিছুটা হলেও আমরা পূরণ করতে পেরেছি। আমার সব শক্তি-সাহস আমি আমার মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি। যতোদিন বেঁচে থাকবো ততোদিন এ দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। এ মানুষগুলোই এখন আমার শক্তি।’


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.005526065826416