জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে ধারণা বাড়াতেই নবম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট হিসেবে শিক্ষার্থীদের যদি এই আইন অনুযায়ী তথ্যপ্রাপ্তির আবেদন করতে দেওয়া হয়, তাহলে তারা আইন সম্পর্কে পুরোপুরি সচেতন হবে। একইসঙ্গে আইনের বাস্তবায়নও বাড়বে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ তথ্য কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ‘মাধ্যমিক শিক্ষক সহায়িকায় তথ্য অধিকার পাঠদান পদ্ধতির পর্যালোচনা’ বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)’ এর আয়োজন করে।
নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের শিক্ষক সহায়িকায় তথ্য অধিকারবিষয়ক পাঠদান পদ্ধতিকে ব্যবহারিক এবং সময়োপযোগী করার জন্য ইউএসএইডের অর্থায়নে ও দ্য কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের সহযোগিতায় একটি গবেষণা পরিচালনা করেছে এমজেএফের ‘তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি’ প্রকল্প।
অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন গবেষক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, নবম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ে তথ্য অধিকার আইন নিয়ে একটি অংশ থাকলেও বিষয়টি পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের যথেষ্ট প্রশিক্ষণ নেই। এছাড়া এটি পড়ানোর জন্য মাত্র ১০ মিনিট সময় বরাদ্দ রয়েছে, যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। এই আইন এবং আইনের প্রয়োগ সম্পর্কে শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, পাঠদানের সময় বৃদ্ধি, গল্পের মাধ্যমে বিষয়টি বোঝানো এবং কীভাবে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে তথ্যের আবেদন করতে পারবে সে বিষয়ে ক্লাসওয়ার্ক প্রয়োজন।
তথ্য কমিশনের সচিব মো. আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ উইং) অধ্যাপক মো. সাঈদুর রহমান, দ্য কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের চিফ অফ পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদ প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মো. আরিফ বলেন, আইন অনুযায়ী সঠিকভাবে আবেদন করলে তথ্য না দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সবাই যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু যাদের তথ্য দরকার তারাই সেভাবে আবেদন করছেন না। তথ্যপ্রাপ্তি বাড়াতে তথ্য অধিকার আইন ও তথ্যপ্রাপ্তির আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা বাড়াতে হবে।