টেলিস্কোপ দরকার হবে না, দেখা যাবে খালি চোখে- সম্প্রতি এমনই এক ধূমকেতুর খবর জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। মাত্র এক মাস আগে আবিষ্কৃত ‘নিশিমুরা’ নামের সবুজ এই ধূমকেতুটি দেখতে আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) চোখ রাখতে পারেন আকাশের দিকে। কারণ আজই এটি অতিক্রম করবে পৃথিবীকে।
জাপানি জ্যোতির্বিদ হিদিও নিশিমুরা গত ১১ আগস্ট প্রথম এই ধূমকেতুর সন্ধান পান। অত্যাধুনিক একটি টেলিস্কোপ ক্যামেরার মাধ্যমে সেটির ছবি তোলেন তিনি। পরে তার নামেই এটির নামকরণ করা হয়। নিশিমুরার আকার এক কিলোমিটার।
জোতির্বিদদের উদ্ধৃত করে ইউরো নিউজ বলছে, মঙ্গলবার পৃথিবী থেকে ১২৫ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ৫০ লাখ কিলোমিটার দূরত্বে পৃথিবীকে অতিক্রম করবে নিশিমুরা। এসময় এর গতি থাকবে ঘণ্টায় ২ লাখ ৪০ হাজার মাইল।
জোতির্বিদরা বলছেন, টেলিস্কোপ প্রয়োজন হবে না, খালি চোখে দেখা মিলবে নিশিমুরার। এছাড়া সৌরজগৎ অতিক্রমের সময় নিশিমুরা আরও উজ্জ্বল হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসা।
ইউরো নিউজ বলছে, সদ্য আবিষ্কৃত ধূমকেতু নিশিমুরা ১২ সেপ্টেম্বর নিরাপদে পৃথিবী অতিক্রম করলেও, জোতির্বিদদের জন্য উত্তর গোলার্ধে আগামী কয়েক দিন এটি দৃশ্যমান (টেলিস্কোপের সাহায্যে) থাকবে।
খালি চোখে দেখা গেলেও খুব ক্ষীণ হওয়ায় নিশিমুরা দেখতে ভিন্ন পরামর্শও দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজের ব্যবস্থাপক পল কোডাস বলেছেন,
এটি (নিশিমুরা ধূমকেতু) দেখার জন্য একজোড়া ভালো দূরবীন থাকলে ভালো হয় এবং কোন দিকে তাকালে দেখা যাবে তা-ও জানতে হবে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, ‘নিশিমুরা’ ধূমকেতু শিগগিরই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করবে এবং এসময়ে এটি পৃথিবীর কাছাকাছিও আসবে। পরে তা চলে যাবে দূর মহাকাশে। এ ধূমকেতুর বৈজ্ঞানিক নাম সি/২০২৩-পি১, যা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সূর্যের সবচেয়ে কাছে আসবে। এর আগে এটি ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসাসহ ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নিশিমুরা ধূমকেতুর কক্ষপথের সময়কাল ৪৩৭ বছর। মঙ্গলবারের পর এ ধূমকেতুটি আবার ৪৩৭ বছর পর পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে। এটি দেখা যাবে সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত। রাত যত গভীর ও অন্ধকার হবে, ‘নিশিমুরা’ ধূমকেতু দেখার সম্ভাবনা তত বাড়বে।