নকলের দায়ে একজনের জেল, বহিষ্কার ১১

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার নিন্দপুর ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে শতভাগ পাস নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের সহায়তায় এইচএসসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহ করা হচ্ছে- এমন খবর একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত হয়। খবরটি নজরে এলে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। গত মঙ্গলবার তাৎক্ষণিক এমন নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

মন্ত্রীর নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লা চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পালাখাল রুস্তম আলী কলেজ ও নিন্দপুর ড. মহিউদ্দিন খান স্কুল ও কলেজকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং বোর্ড থেকে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে।  

এদিকে ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন পরীক্ষাকেন্দ্রে অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পরীক্ষাসংক্রান্ত শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে ‘ফোন দেখে লিখছেন পরীক্ষার্থীরা, পাশে দাঁড়িয়ে কক্ষ পরদির্শক’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এই সংবাদটিও শিক্ষামন্ত্রী নজরে আসে। সংবাদে উল্লেখ করা হয় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপলেজার মনসুর নগর ইউনিয়নের এম. মনসুর আলী জাতীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা স্মার্ট ফোন দেখে লিখছেন পাশে দাঁড়িয়ে আছেন কক্ষ পরিদর্শক।  

জানা গেছে, মাত্র দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে এভাবেই উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা দিচ্ছে এই কেন্দ্রের প্রায় এক হাজার পরীক্ষার্থী! 

কেন্দ্র কমিটিকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে কব্জায় নিয়ে পরীক্ষার্থীদের জন্য এমন বন্দোবস্ত করেছে একটি চক্র। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা মিলিয়ে অন্তত ৯টি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে এই কারবার চালাচ্ছে চক্রটি।

এই সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়াহয় এবং জেলা প্রশাসক জানান ইতোমধ্যে ১১ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, ১ জনকে ৭ দিনের জেল দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! - dainik shiksha মিনিস্ট্রি অডিটরদের গরুর দড়িতে বাঁধবেন শিক্ষকরা! অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha অ্যাডহক কমিটি সংক্রান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ - dainik shiksha সোহরাওয়ার্দী কলেজ যেনো ধ্বং*সস্তূপ জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল - dainik shiksha জোরপূর্বক পদত্যাগে করানো সেই শিক্ষকের জানাজায় মানুষের ঢল শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় - dainik shiksha শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটি সারানোর এখনই সময় কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.004796028137207