জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বী ভক্ত-অনুরাগী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হতে থাকে। রঙিন পোশাক পরিধান করে দলবেঁধে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে।
বৃহস্পতিবার বাণী অর্চনা, দেবীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, অঞ্জলি প্রদান, আরতি, প্রসাদ বিতরণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বরস্বতী পূজা উদযাপিত হয়েছে। পূজা উপলক্ষে গত বুধবার রাত থেকেই শুরু হয় কার্যক্রম। ঢাকের শব্দে মুখর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় হয় প্রতিমা স্থাপন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় পূজারাম্ভ হয়ে সকাল ১১টায় পুষ্পাঞ্জলি করা হয়। দুপুর ১২টায় হয় প্রসাদ বিতরণ। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ৮টায় আরতি প্রতিযোগিতা ও রাত ৯টায় পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
দুপুরে কেন্দ্রীয় মন্দিরে সনাতন সংঘের উদ্যোগে আয়োজিত বাণী অর্চনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. শেখ সুজন আলী, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সোহেল রানা, লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার মুখার্জীসহ অন্য শিক্ষক-কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা।
কেন্দ্রীয় পূজার বাণী অর্চনা অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে যে যার ধর্ম পালন করলেও উৎসব একসঙ্গে উদযাপন করেন। সরস্বতী পূজায় শুধু সনাতন ধর্মাবলম্বীর শিক্ষার্থীরাই নয় অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীরাও এই সার্বজনীন উৎসবে শামিল হন।
তিনি বলেন, স্বরস্বতী দেবীকে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আরাধনা করা হয়ে থাকে, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ও এর ব্যতীক্রম নয়। সনাতন ধর্মাবলম্বী ছাড়াও এই পূজা আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত থাকেন ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক অধ্যাপিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আপামর জনগণ। আমি সবাইকে এত সুন্দর আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।