নতুন এমপিওভুক্ত চরফ্যাশন উপজেলার হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের হাজিরা খাতা গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।
জানা গেছে, ২০০৩ খ্রিষ্টাব্দে হাজারীগঞ্জ মোহাম্মদীয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘবছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে আসছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা। গত জুলাই মাসে ওই মাদ্রাসার নাম আসে এমপিও’র তালিকায়। তবে হাজিরা খাতাটি গায়েব হয়ে যাওয়ায় এখন বকেয়া বেতন না পাওয়ার শঙ্কা করছেন শিক্ষকরা। লিখিত অভিযোগে শিক্ষকরা বলেন, ‘ওই মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন ধরে বিনা বেতনে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে শিক্ষকতা করছি। অথচ ১ আগস্ট থেকে হাজিরা খাতাটি গোপনে কোথায় যেন সরিয়ে রেখেছেন মাদ্রাসা সুপার মাওলানা রুহুল আমিন (ফিরোজ)।
যার ফলে আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়ে পাঠদান করালেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে পারছি না। ফলে বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি আমরা।’
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে ওই মাদ্রাসা সুপারকে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, শিক্ষকদের এমন অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করা হবে। সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।