দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : চলতি বছর থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। পঞ্চম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন এখনো শুরু হয়নি। তবে সাভারের মর্নিং গ্লোরি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নতুন শিক্ষাক্রমে কড়া সমালোচনা করে এটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে নতুন শিক্ষাক্রমের কড়া সমালোচনা করেন ডা. আফরোজ নাসরিন নামের ওই অভিভাবক। তিনি নিজেকে চিকিৎসক হিসেবেও পরিচয় করান।
সংবাদ সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, অপরের দুখে দুঃখী হয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে এসেছি। মুখস্ত বিদ্যা অনেক ভালো, আমি নিজে খুব পারদর্শী। আমার সাথে মুখস্ত করে কেউই পারবে না। আমি খুবই সিরিয়াস ছিলাম।
তিনি বলেন, আমার ছেলে থার্ড বেঞ্চে বসলেও তার খাতা শিক্ষক দেখতে পারেন না। তিনি সব শিক্ষার্থীকে নতুন শিক্ষাক্রম কিভাবে পড়াবেন। আমরা শিশুদের ফাঁকিবাজি শেখাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, দলগত কাজ করে মানুষ কি শিখবে? দলের যে গ্রুপ লিডার সে কাজ করে আর বাকিরা বসে থাকে। শিক্ষকরা বাচ্চাদের বলেন, অধিদপ্তর থেকে কেউ আসলে বলবা নতুন শিক্ষাক্রম আমার পছন্দ হয়েছে। আমার তো শিক্ষকের প্রতি অশ্রদ্ধা চলে আসতেছে।
তিনি বলেন, যারা এর পেছনে আছে তারা তো অনেক গবেষণা করেছেন। এরকম একটি অপরিকল্পিত জিনিস কোনো কোটি মানুষের দেশে প্রণয়ন করা হলো। যেখানে শিক্ষকরা প্রশিক্ষণই পাননি।
ডা. আফরোজ নাসরিন বলেন, আমি ইংরেজি মিডিয়ামের বইগুলো পড়লাম, সেগুলো দেখলে বোঝা যায়। কিন্তু এখনকার বই পড়লে কিছু বোঝা যায় না। আগের বছরের ক্লাস সিক্সের বইয়ে অনুশিলন ছিলো, কিন্তু এখন তাও নেই। তিনি কো-এডুকেশন স্কুলে দলগত কাজ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
পরবর্তীতে প্রশ্ন করা হলে ডা. আফরোজ নাসরিন জানান তারা সন্তান পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। তাহলে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কোনো সমালোচনা হচ্ছে, প্রশ্ন করে আফরোজা দাবি করেন, তার বাচ্চা আগামী বছর ষষ্ঠ শ্রেণিতে উঠবেন। তিনি বলেন, আমি আতঙ্কিত। আমি কিছু না জেনে এসেছি, এমন না। আমি বইগুলো দেখেছি ও শঙ্কিত হয়েছি বলেই এসেছে।