২৭ হাজার নতুন শিক্ষককে যোগদানে বাধা দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে। এনটিআরসিএর সুপারিশপ্রাপ্ত অনেক শিক্ষককেই যোগদান করাতে প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সভাপতি ঘুষ চান বা অনৈতিক সুবিধা দাবি করেন। এসব ক্ষেত্রে বলা হয়, ঘূষ না দিলে নতুন শিক্ষককে যোগদান করতে দেয়া হবে না। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষককে যোগদান করতে না দিলে ফেঁসে যাবেন সভাপতি।
যোগদানে বাধা দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্যবস্থা নেয়া হবে পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধেও। বিদ্যমান এমপিও নীতিমালায় বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বলা আছে।
২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১২ জুন জারি করা বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে ওই পদে মনোনীত (সুপারিশপ্রাপ্ত) প্রার্থীকে নিয়োগ (যোগদান করতে) দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে ওই শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গতকাল বুধবার রাতে নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ পত্র প্রকাশ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ২৭ হাজার ৭৪ জন চূড়ান্ত সুপারিশ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন:
শিক্ষক নিয়োগ : যেসব কারণে সুপারিশ পেলেন না সাড়ে ৫ হাজার নির্বাচিত প্রার্থী
যোগদান থেকেই বেতন পাবেন সাড়ে ১৩ হাজার নতুন শিক্ষক
আগামী ১৯ অক্টোবরের মধ্যে ২৭ হাজার নতুন শিক্ষককে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত সুপারিশ পত্রে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নির্ধারিত লিংকে প্রবেশ (http://103.230.104.210:8088/ntrca/c5/app/login.php?type=19) করে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রার্থীরা সুপারিশ পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।
সুপারিশপত্র ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে প্রার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৯ অক্টোবরের যোগদান করতে হবে। সুপারিশপ্রাপ্ত হবু শিক্ষকদের যোগদানে বাধা দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান আছে।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৩২ হাজার ৪৮০জন প্রার্থীর মধ্য থেকে ২৭ হাজার ৭৪জন প্রার্থীকে নিয়োগ সুপারিশ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের মধ্যে ৩ হাজার ৬০৭জন পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য ভিআর ফরম দাখিল না করায় এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ৭৯৯ জনের মধ্যে জাল সনদ পাওয়ায়, কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকায়,বয়স ৩৫ বছর অতিক্রম করায়,নিবন্ধন সনদ না থাকা সত্ত্বেও ভুল পদে আবেদন করায়, মামলার স্থগিতাদেশ থাকায় ইত্যাদি কারণে নিয়োগ সুপারিশ করা সম্ভব হয় নি। সুপারিশকৃত ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থীর মধ্যে,কলেজ ও স্কুলে ১৩ হাজার ৭০৫, মাদরাসায় ১১ হাজার ২৭৯, কারিগরিতে ৫১৬, সংযুক্ত স্কুলে ১ হাজার ৫৮৩, সংযুক্ত মাদরাসায় ৬২১ জন রয়েছেন। সুপারিশকৃত ২৭ হাজার ৭৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ১৯২, মহিলা ৮ হাজার ৮৮২। মহিলা কোটায় নির্বাচিত ৬ হাজার ১৭৬জন।
এনটিআরসিএ জানিয়েছে, সুপারিশকৃত ২৭ হাজার ৭৪ জন প্রার্থী এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এসএমএসের মাধ্যমে সুপারিশের বিষয়টি জানানো হয়েছে। ফল এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটের লিংকে পাওয়া যাবে।
শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।