নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর গ্রহণ করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করছেন রাজধানীর কয়েকজন অভিভাবক। এরপর ফেসবুকের গ্রুপের মাধ্যমে আগামীকাল শুক্রবার মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছেন সেই অভিভাবকরাই। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করবেন তারা। হঠাৎ ফেসবুকের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ‘শিক্ষা আন্দোলন সম্মিলিত অভিভাবক ফোরাম’র ব্যানারে অভিভাবকরা এ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন। তবে, কারা কোন প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক তা জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) শিক্ষা আন্দোলন সম্মিলিত অভিভাবক ফোরামের আহ্বায়ক পরিচয়ে ফেসবুকে ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে জনৈক তাহেরা আক্তার রুপার বরাতে এমন সংবাদ প্রকাশ হয়। সেইসব গণমাধ্যম ও ফেসবুকে রূপা দাবি করেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে তারা দাবির প্রতি সমর্থন যাচাইয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করেছেন। কিছু অভিভাবক তাদের সঙ্গে একমত হয়ে এতে সাড়াও দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
তাহেরা আক্তার রুপার বরাতে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, নতুন শিক্ষাক্রমে পরীক্ষা না থাকলেও ‘শিক্ষার্থী কাজ’র চাপ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত জেগে ওদের প্রোজেক্টের কাজ করতে হচ্ছে। একেকটা প্রোজেক্টের জন্য অনেক ধরনের অতিরিক্ত জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
এদিকে, নির্দিষ্ট সাত দফা দাবি নিয়ে এগোচ্ছে সম্মিলিত অভিভাবক ফোরাম ব্যানারে অনেকে। হঠাৎ তৈরি হওয়া এই ফোরামের তাদের দাবিগুলো হলো- নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল, ৫০-৬০ নম্বরের অন্তত দুটি সাময়িক লিখিত পরীক্ষা চালু রাখা, ত্রিভুজ-বৃত্ত-চতুর্ভুজসহ সব ধরনের চিহ্নভিত্তিক ফল পদ্ধতি বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডিং ভিত্তিতে মূল্যায়ন।
এছাড়া শিখন ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের সব খরচ স্কুলকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সব প্রোজেক্টের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের দলগত কাজে মোবাইলসহ ডিভাইসমুখী হতে নিরুৎসাহিত করে অধ্যয়নমুখী করতে হবে, প্রতি বছর সব ক্লাসে রেজিস্ট্রেশন ও সার্টিফিকেট প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং সব শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ ও জাতীয় সংসদে উত্থাপন করতে হবে।