দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবি তুলে রাজপথে নামা কিছু অভিভাবক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এ শিক্ষাক্রম বাতিল দাবি আদায়ে তারা আগামী ২৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অভিভাবক সমাবেশের ডাক দিয়েছেন। এর আগে এ শিক্ষাক্রম বাতিলের দাবিতে প্রতিদিন নিজ নিজ সন্তানের স্কুলের সামনে সমাবেশ ও ১৪ নভেম্বর ডিসিদের কাছে স্মারকলিপি দেবেন তারা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন অভিভাবকরা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবকরা নতুন শিক্ষাক্রমকে 'জাতীয় শিক্ষানীতি' বিরোধী আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করার দাবি জানান। একইসঙ্গে ত্রিভুজ, বৃত্ত, চতুর্ভুজ ইত্যাদি নির্দেশক বা ইণ্ডিকেটর বাতিল করে নম্বর ও গ্রেডভিত্তিক মূল্যায়ন পদ্ধতি বহাল রাখারা দাবি জানান।
আরো পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে অন্যান্য বিষয়ের মতো ধর্ম শিক্ষাও মূল্যায়ন হবে : শিক্ষামন্ত্রী
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো, নম্বরভিত্তিক দুইটা সাময়িক লিখিত পরীক্ষা (৬০ নাম্বার) চালু রাখতে হবে এবং ক্লাসটেস্টগুলোকে ধারাবাহিক মূল্যায়ন (৪০ নম্বর) হিসাবে ধরতে হবে। নবম শ্রেণি থেকেই শিক্ষার্থীর অগ্রহ অনুযায়ী বিষয় নির্বাচনের সুযোগ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ রাখতে হবে। সব শিখন, প্রোজেক্ট ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ক্লাসের ব্যয় সরকারকে বহন করতে হবে এবং স্কুল পিরিয়ডেই সব প্রোজেক্ট সম্পন্ন হতে হবে। শিক্ষার্থীদের দলগত ও প্রোজেক্টের কাজে ডিভাইস অনুৎসাহিত করতে হবে এবং তাত্ত্বিক বিষয়ে অধ্যয়নমুখী করতে হবে।
প্রতি বছর প্রতি ক্লাসে নিবন্ধন ও সনদ দেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে, প্রাথমিক ও জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা চালু রাখতে হবে, এবং এসএসসি ও এইচএসসি দুইটা পাবলিক পরীক্ষা বহাল রাখতে হবে। সব শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই তা মন্ত্রিপরিষদ এবং সংসদে উত্থাপন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রমের বিভিন্ন দিকের সমালোচনা করেন উপস্থিত অভিভাবকরা। পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকও সংবাদ সম্মেলনে নতুন শিক্ষাক্রমের সমালোচনা করেন।
আরো পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে মুখস্থবিদ্যা থেকে বের হতে পারবো : সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম
নিজেকে লেখক ও অভিভাবক দাবি করে রাখাল রাহা নামের এক ব্যাক্তি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি ব্রিটিশ শিক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন ও নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ বহাল রাখার দাবি জানান।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বারবার বলে আসছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের কোচিং করতে হবে না। তাই কোচিং মালিকরা তাদের ব্যবসা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় নতুন শিক্ষাক্রমের বিরোধীতা করছেন। এছাড়া কিছু অভিভাবক ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন মর্মেও অভিযোগ করে আসছেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।