নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে। এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘স্মার্ট এডুকেশন ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে দীপু মনি বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরি বাস্তবায়ন হতে লাগবে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ (দশম শ্রেণি পর্যন্ত)। ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষাক্রমে এসএসসি পরীক্ষা দেয়া শুরু করবে।
গত জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম শুরু হয়েছে। আগামী বছর বা ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে তা শুরু হবে। এরপর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে চালু হবে। উচ্চমাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।
জানা গেছে, নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বড় অংশ হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিকভাবে (শিখনকালীন)। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পুরোটাই মূল্যায়ন হবে সারা বছর ধরে চলা বিভিন্ন ধরনের শিখন কার্যক্রমের ভিত্তিতে। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে, মানে পরীক্ষার ভিত্তিতে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়াটি এ বছর থেকে চালু হচ্ছে। তবে এর নানান দিক বুঝে উঠতে একটু সময় লাগবে। শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভ্যস্ত হতেও কিছুটা সময় লাগবে। তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে।
জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ সংশোধনের ইঙ্গিত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হবে শিক্ষাকে সার্বিক শিক্ষায় পরিনত করা। সেটা যে স্ট্রিমেই হোক না কেনো। মাদরাসার একজন শিক্ষার্থীও যেনো জীবন সম্পর্কিত সব দক্ষতা পায়, সে যেনো ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীর থেকে পিছিয়ে না থাকে। সব শিক্ষার্থী যেনো সব স্কিল ও নলেজ পায়, সেটা আমাদের স্মার্ট এডুকেশনের মূল লক্ষ হওয়া উচিত। এ লক্ষ্যে আমাদের ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের যে শিক্ষানীতি ছিলো তা আরো পরিবর্তন বা রূপান্তরের আলোচনা আশা উচিত, সে আলোচনা আসছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানসহ অনেকে।
তিনদিনব্যাপী এই ফেস্টিভ্যালে বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্টল দিয়ে বিভিন্ন বিষয় প্রদর্শন করছে।