নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে ধীরে ধীরে সবাই অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক উপাচার্য ও মিরপুর কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির।
সম্প্রতি দেশের শিক্ষা বিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা ও শিক্ষা বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকমের সঙ্গে এক একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, শিক্ষাকে বাস্তবজ্ঞান নির্ভর ও কর্মমুখী করার লক্ষ্যে নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখানে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতি থাকছে না। শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই হবে। মূল্যায়নের ধরন হলো অ্যাসাইনমেন্ট, উপস্থাপন, যোগাযোগ ও হাতে-কলমে।
অধ্যাপক শরীফ বলেন, ইতোমধ্যে স্কুল পর্যায়ের কিছু শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হয়েছে। যতদূর জেনেছি, শিক্ষার্থীরা উপভোগ করছেন। আনন্দের সাথে শেখাটা গুরুত্বপূর্ণ। এটাই হলো জীবনমুখী শিক্ষা। আমি এই নতুন কারিকুলামকে স্বাগত জানাই। আশা করছি, সবাই এ নতুন পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে সরকার। গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নির্ভর এ শিক্ষাক্রম এ বছরই প্রাথমিকের প্রথম এবং মাধ্যমিকের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে। আগামী বছর (২০২৪ শিক্ষাবর্ষে) থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতেও নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে। এরপর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দে তা চালু হবে চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে। আর উচ্চ মাধ্যমিকে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৭ খ্রিষ্টাব্দে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হবে।
শিক্ষার নীতিনির্ধারকরা বলছেন, শিশুর মেধা বিকাশে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার বাইরে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাভিত্তিক নতুন শিক্ষাক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে। পাইলটিংয়ের পর তা বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এ শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের শিখতে পারা ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে দক্ষ করে গড়ে তুলবে।
যদিও অভিভাবকদের কেউ কেউ নতুন শিক্ষাক্রম সংস্কার করে পরীক্ষা ও প্রচলিত মূল্যায়ন পদ্ধতি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছেন।