সারাদেশে চলছে নতুন শিক্ষাক্রমের শিক্ষক প্রশিক্ষণ। রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়া গার্লস স্কুল এন্ড কলেজও এই প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। সম্প্রতি কেন্দ্রটিতে সাত দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সেখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকার মুখোমুখি হয়েছিলেন দৈনিক আমাদের বার্তার প্রতিবেদক মিথিলা মুক্তা, মো. কায়েস ও সাবিহা সুমি। পাঠকদের জন্য প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিক্রিয়ার উল্লেখযোগ্য অংশ প্রকাশ করা হলো-
শিক্ষায় বিপ্লব ঘটবে
ফজলুল হক
মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ
এটা ধারাবাহিক কার্যক্রম
ফারজানা ফারু
সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল
নতুন শিক্ষাক্রম যোগ্যতাভিত্তিক শিখন পদ্ধতি। এটা কিন্তু একটা ধারাবাহিক কার্যক্রম। শিক্ষা যে একটা আনন্দময় যাত্রা সেটা নতুন শিক্ষাক্রমে বেশ ভালোভাবে প্রতিফলিত। প্রশিক্ষণে এসে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি। এগুলোর প্রয়োগ কিভাবে করতে হবে সে সম্পর্কেও ধারণা নিয়ে যাচ্ছি। এই অভিজ্ঞতাটা খুবই আনন্দদায়ক। নতুন শিক্ষাক্রম আমাদের অনেক দূর নিয়ে যাবে।
সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠবে।
ফাহমিদা আলম রত্না
ঢাকা উদ্যান পাবলিক স্কুল
আগে একজন অভিভাবক বলতেন- আমার বাচ্চা জিপিএ ফাইভ পেয়েছে, আরেকজনের মনটা খারাপ হয়ে যেতো। কিন্তু তা এখন আর হবে না। এখন এসেছে পারদর্শিতা, দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনের বিষয়। আমরা এসব জানতে পারবো বিভিন্ন সূচকের মাধ্যমে। সৃজনশীল মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে এই শিক্ষাক্রমকে সাধুবাদ জানাই। এর আওতায় বাচ্চার সৃজনশীল মানুষ হয়ে উঠবে।
দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে
মনোয়ারা ইয়াসমিন
লালমাটিয়া স্কুল এন্ড কলেজ
নতুন কারিকুলামের প্রশিক্ষণ খুবই জরুরি ছিলো। যেহেতু কারিকুলাম নতুন, সেহেতু দিক নির্দেশনা পেতে প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। যাতে শিক্ষকরা যথাযথভাবে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে পারে। এতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে, শিক্ষকও তৈরি হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই নতুন কারিকুলামের বিষয়টি আমরা যদি ঠিকঠাক ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে আমরা উন্নত জাতি গঠনের পথে এগিয়ে যেতে পারবো।
কর্মমুখী শিক্ষা অধিক কার্যকর
মোঃ নাজমুল হুদা
উইনসাম স্কুল এ্ন্ড কলেজ
এতো দিন আমরা ট্রেডিশনাল শিক্ষা দিতাম। নতুন কারিকুলামের শিক্ষাটা অনেকখানি বাস্তবধর্মী। আগে যেমন মূল্যায়ন করতাম লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে এককালীন বা বাৎসরিক, তাতে সঠিক বা যথার্থ মূল্যায়ন হয়তো হতো না। কিন্তু এখন যেহেতু প্রতিনিয়ত দক্ষতা ভিত্তিক মূল্যায়ন, এতে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিকাশ সম্ভব হবে। কর্মমুখী শিক্ষা অনেক বেশি হেলপফুল। অনেক বেশি কার্যকর।
মেধার অভাব পূরণ হবে
মোঃ নোমান
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজ
আগের কারিকুলাম ছিলো জ্ঞানমূলক। নতুন কারিকুলাম জ্ঞানের পাশাপাশি দক্ষতা ও অর্জনমূলক হয়ে আমাদের কাছে এসেছে। এ কারণে এতে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কেবল পড়াশোনা করবে তা না, অভিজ্ঞতাও অর্জন করবে। এর ফলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের যে মেধা শক্তির প্রয়োজন তা পূরণ হবে। প্রশিক্ষণের আমরা বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছি।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।