নতুন শিক্ষাক্রমের বই নিয়ে অস্বস্তি থাকলে সংশোধন

ঢাবি প্রতিনিধি |

নতুন শিক্ষাক্রমের প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই নিয়ে কারো অস্বস্তি বা আপত্তি থাকলে তা সংশোধন করা হবে। আপত্তি ও অস্বস্তিগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামী বছরের জন্য বইগুলো সংশোধন করা হবে এবং নতুন শিক্ষাক্রমের বাকি শ্রেণির বইগুলো সে আলোকে তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নতুন শিক্ষাক্রমের বই নিয়ে ডা. দীপু মনি বলেন, এ বছর মাধ্যমিকে ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে বইগুলো দিয়েছি। আমরা শিক্ষার্থী-অভিভাবক-শিক্ষক শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নেবো এবং বইগুলো পরিমার্জন ও পরিশীলন করা হবে। এবার ষষ্ঠ ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো গিয়েছে এ নিয়ে কারো অস্বস্তি-আপত্তি থাকতেই পারে। তাই আমাদের এ বিষয়গুলো জানাবেন, আমরা সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আগামী বছর জন্য সংশোধন করবো এবং বাকি শ্রেণির বইগুলো সেই আলোকে তৈরি করা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে দীপু মনি বলেন, একটা নতুন শিক্ষাক্রমে যেতে হলে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় আমরা এখনো সেই ই স্টেজেই আছি। ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ এ তিন বছর মিলিয়ে এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন হবে। এ বছর বইগুলো পরীক্ষামূলক গেছে। গত বছর আমরা ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাইলট করেছি, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সবার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। 

কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনার্স-মাস্টার্সের সনদ নিয়ে লাভ নেই, যদি সেটি কাজে না লাগাতে পারেন। যারা ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করবেন, অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। কারিগরিতে আসলে অনেক দ্রুত কর্মসংস্থান হবে, অনেক দ্রুত প্রতিষ্ঠিত হতে পারবেন। পৃথিবীর যতগুলো দেশ এগিয়ে গেছে তারা কারিগরি শিক্ষার ওপর মনোযোগ দিয়েই এগিয়ে গেছে, সে কারণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছেন। যারা শিক্ষাকতা করবেন, গবেষণায় যাবেন, সুনির্দিষ্ট পেশায় যাবেন তারা উচ্চ শিক্ষায় গ্রহণ করুন।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বিগত তিনটি শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে পারিনি। তবে এখন আমাদের সুযোগ আছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হওয়ার এবং সফলতা লাভ করার। এসব বিবেচনায় ২১ শতকের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযুক্ত শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করতে হবে। মুখস্ত, সনদ, পরীক্ষা নির্ভর ভীতি যে শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল তা থেকে বেরিয়ে এসে জ্ঞানের পাশাপাশি যে দক্ষতা অর্জনের শিক্ষার পাশাপাশি সফট স্কিলগুলো শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে আনতে হবে।

ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. মাহফুজুল ইসলাম।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha ৬ষ্ঠ ও ৮ম শ্রেণির বাদপড়া শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও - dainik shiksha ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠাতা’ দেখিয়ে কলেজ সভাপতির প্রস্তাব দিলেন ইউএনও বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল - dainik shiksha বেরোবি শিক্ষক মনিরুলের নিয়োগ বাতিল এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক - dainik shiksha এমপিও না পাওয়ার শঙ্কায় হাজারো শিক্ষক কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত - dainik shiksha জাল সনদে শিক্ষকতা করা আরো ৩ জন চিহ্নিত এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন - dainik shiksha এসএসসি ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের ফরম পূরণের পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি দেখুন কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.002547025680542