নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে সেটি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে। অবশেষে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি)।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এনসিসিসি’র এক বৈঠকে এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক সূত্র দৈনিক শিক্ষডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, আমরা যেভাবে প্রস্তাব করেছিলাম, আগে যা যা ছিলো, সেভাবেই থাকছে। ছোটোখাটো কিছু সংশোধনীসহ মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকের সভায় প্রস্তাবিত কাঠামো, নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ লিখিত এবং ৩৫ শতাংশ কার্যক্রমভিত্তিক থাকছে।
জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মূল্যায়ন পদ্ধতির খসড়া প্রণয়ন করে এনসিটিবি। সেটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও উপস্থাপন করা হয়। পরে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে নতুন কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সভায় তা আবারও সংশোধন করা হয়। আনুষঙ্গিক কাজ শেষে এনসিটিবির বোর্ড সভায় সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়। তারপর সেটি এনসিসিসির সভায় উপস্থাপনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
এর আগে এই চূড়ান্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। অবশেষে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির আজকের (সোমবার) বৈঠকে তা চূড়ান্ত হয়।
এতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেখানে এসএসসি পরীক্ষার পদ্ধতি কেমন হবে, সেটাও রয়েছে।
প্রস্তাবিত নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মূল্যায়ন এবং দশম শ্রেণির পাবলিক মূল্যায়ন বিষয়ক (এসএসসি পরীক্ষা) মূল্যায়ন কৌশল ও বাস্তবায়ন নির্দেশনা অনুমোদনের বিষয়টি সভার আলোচ্য বিষয় ছিলো। এছাড়া বিবিধ বিষয়েও আলোচনা হয়।