যমুনার ভাঙনে ভবন বিলীন হওয়ায় সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার মেহেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খোলা মাঠে টিনের ছাউনিতে পাঠদান করা হচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলে সেই ঘরেও পাঠদান করতে হয় সমস্যা।
ওই বিদ্যালয়ের গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ভবনটি সম্পূর্ণ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর ২০০ মিটার অদূরে একটি খোলা মাঠে টিন দিয়ে একটি ছাউনি তুলে নামমাত্র পাঠদান চলছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, বিদ্যালয় যমুনাগর্ভে বিলীন হওয়ার পর তাদের খুব কষ্ট করে লেখাপড়া চালাতে হচ্ছে। এখানে পড়াশোনার কোনো পরিবেশ নেই।
অভিভাবকেরা বলেন, প্রধান শিক্ষক টিনের ছাউনি তুলে দুই-চারজন ছেলেমেয়ে নিয়ে বসে থাকেন। এখানে পাঠদানের কোনো পরিবেশ নেই। ভবন না থাকায় স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে এলাকার শিশুরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
বড়ধুল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি জিন্নাহ মোল্লা জানান, বিদ্যালয় ভবনটি ভেঙে যাওয়ার পর বিষয়টি এমপি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তারা যদি কোমলমতি শিশুদের কথা চিন্তা করে দ্রুত ব্যবস্থা না নেন, তাহলে এ অঞ্চলের শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে।
মেহেরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙনের পর থেকে খোলা মাঠে ছাউনি তুলে আমরা শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছি। তবে শিক্ষার জন্য যে পরিবেশ থাকা দরকার, তা এখানে নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে বেলকুচি উপজেলার বড়ধূল ইউনিয়নের দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভেঙে নদীগর্ভে চলে গেছে৷ আমরা দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা যেন ঝরে না পড়ে, সেজন্য অস্থায়ীভাবে ছাউনি তুলে শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখতে বলেছি। আর পাশাপাশি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে স্কুল সম্পর্কে জানিয়েছি। একটি ফান্ডের আশা করছি। ফান্ডটি পেলে খুব দ্রুত আমরা ওই স্কুল দুটিতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারব।