নবম শ্রেণির নতুন ইংরেজি বই পর্যালোচনা

মাছুম বিল্লাহ |

নতুন ইংরেজি বইয়ে অ্যাপেনডিক্সসহ মোট তেরোটি অধ্যায় আছে। অ্যাপেনডিক্স বাদে বারোটি অধ্যায়। অধ্যায়গুলে হলো- ওপিনিয়ন ম্যাটার্স, ন্যচারস ট্রাপেস্ট্রি, দ্যা সেন্স অব বিউটি, টোনস ইন স্টেটমেন্টস, এক্সপ্রেসিং অ্যা সলিউশন টু এ প্রোবলেম, দ্যা আর্ট অব এক্সপ্রেসিং কমপ্যারিজনস, দ্যা পাওয়ার অব ইনক্লুসিভ ল্যাংগুয়েজ, ইমাজিনেশনস, অ্যা জার্নি থ্রু এক্সপ্ল্যানেটরি টেক্সস্টস, আন্ডারস্ট্যান্ডিং অ্যা কজ অ্যান্ড এক্সপ্লোরিং ইফেক্টস, দ্যা লাস্ট লিভ এবং ম্যাকবেথ।

প্রথম অধ্যায়ে ফ্যাক্টস ও ওপিনিয়নের মধ্যে তফাৎ বর্ণিত হয়েছে। ফ্যাক্টস হচেছ- নিরপেক্ষভাবে কোনো বিষয় সবার কাছে একই, কিন্তু মতামত হচেছ একজন ব্যক্তি নিজে যা ভাবেন বা চিন্তা করেন সেটি। কোনো বিষয় লেখার সময় কিংবা কথা বলার সময় ফ্যাক্টস কি এবং মতামত কি সে বিষয়টি আমাদের ভালোভাবে বুঝা প্রয়োজন। একটি টেকস্টের মধ্যে কোনটি ‘ফ্যাক্টস’ এবং কোনটি ‘মতামত’ সেটি বুঝতে হয়। এই পার্থক্য বুঝতে পারা একটি চমৎকার দক্ষতা। একজন শিক্ষার্থী যখন ‘ফ্যাক্টস’ ও ‘ওপিনিয়নে’-এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে সেটি তার সূক্ষ্ম চিন্তন দক্ষতার প্রকাশ। যে ধরনের টেকস্ট-এ ’ফ্যাক্টস’ ও ’ ওপিনিয়ন’ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের তা বের করতে হয়, তার মানে হচেছ তারা চিন্তা করার এবং নিজেদের মেধা ব্যবহার করার সুযোগ পান। 

‘ক্রসিং দ্যা বার’ কবিতায় আলফ্রেড লর্ড টেনিসন প্রকৃতির সিম্বল যেমন সূর্যাস্ত, সন্ধ্যাতারা, নদীর স্রোত, ফেনা, গোধূলি বেলা, গোধূলীর ডাক, ঝড় ইত্যাদি ব্যবহার করে আমাদের এই জীবন থেকে মৃত্যুর দিকে যাত্রার অনুভূতি বুঝানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি জীবন ও মৃত্যুর মাঝে যে দেয়াল তা পার করতে চেয়েছেন হাসিমুখে, দু:খ ও ভারাক্রান্ত হৃদয়ে নয়।  তিনি জীবনের চরম সত্যকে অর্থাৎ আমাদের মৃত্যুবরণ করতে হবে সেটিকে হাসিমুখে বরণ করতে চেয়েছেন। এরপর জন কিটস, যিনি একজন রোমান্টিক কবি। তার কবিতা ’ অন দ্যা গ্রাসহপার অ্যান্ড ক্রিকেট’ যেখানে কর্ণকুহরে প্রবেশ করার মতো অর্থাৎ শ্রবণ ইমেজারিতে পরিপূর্ণ । ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ইমেজারি এবং সত্য ও নৈতিকতা আবিষ্কারের কথাও রয়েছে। 

‘দ্যা সেন্স অব বিউটি’ অধ্যায়ে যৌক্তিকভাবে লিখিত রচনার কথা বলা হয়েছে। এসব রচনায় আমরা কোনো কিছুর পক্ষে কিংবা বিপক্ষে অবস্থান গ্রহণ করি। তবে, যেটির পক্ষেই থাকি না কেনো সেটির জন্য কোন বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করতে হয় এবং বিষয়টিকে বিভিন্ন দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হয়। অনুমান ভিত্তিক কোনো মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ নেই। এখানে যৌক্তিক ব্যাখ্যা কিভাবে দিতে হয় সেটি শিক্ষার্থীদের শেখানো হচেছ। এই অধ্যায়ে আরও বলা হয়েছে, মানুষে দুধরনের সৌন্দর্য্যজ্ঞান। একটি বাহ্যিক ও অপরটিকে ভেতরকার যাকে আত্মিক সৌন্দর্য্যও বলা হয়। শুধু বাহ্যিক চাকচিক্য ও সৌন্দর্যের পূজা করলে চলবে না, একজন মানুষকে তার আত্মিক ও বাহ্যিক দুটো সৌন্দর্যের সম্মিলন ঘটাতে হবে। তবেই তিনি হবেন একজন প্রকৃত সৌন্দর্যের পূজারী। তবেই তার হৃদয়, মন ও বাহির সমানভাবে পরিষ্কার থাকবে এবং বহি:প্রকাশ ঘটবে তার নিত্যদিনের, কাজে-কর্মে, কথাবার্তায়। কাজেই এ অধ্যায়টিও শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ উপযোগী। 

‘দ্যা আর্ট অব এক্সপ্রেসিং কমপ্যারিজনস’ অধ্যায়ে দুটো বিষয় কিংবা বস্তুর মধ্যে সাধারণ গুণের বা কমন বৈশিষ্টের মধ্যে তুলনা করা বুঝায়। আর কনট্রাস্ট হলো তার বিপরীত। অর্থাৎ দুটো বস্তু বা বিষয়ের মধ্যে বৈপরীত্য নির্দেশ করে। আমরা এ জাতীয় কোনো রচনা কিংবা বিষয় লিখতে গেলে এই সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্যের মধ্যে সম্পর্ক আবিষ্কার করি। আর সেটি করতে আমরা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ দক্ষতা ব্যবহার করি। প্রাপ্ত তথ্যাবলীর বিশ্লেষণ করে অর্থবহ যুক্তির মাধ্যমে তুলনা করি, পার্থক্য করি। এতে আমাদের বিশ্লেষণদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এই অধ্যায়ে শিক্ষার্থীদের অর্গানিক ও নন-অর্গানিক খাবারের চাহিদার পার্থক্য, গুণাগুণ এবং অর্গানিক খাবারের চাহিদা, বেড়ে যাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থাৎ দু’ধরনের খাবারকে একটিকে অপরটির সাথে তুলনা করা হয়েছে। অর্গানিক খাবার প্রিজারভেটিভ, গন্ধযুক্ত, মিষ্টিযুক্ত  ও রঙিন  যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। অন্যদিকে নন অর্গানিক খাবারে বিষাক্ত কীটনাশক যেমন ক্যাডমিয়াম থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর। 

দ্যা পাওয়ার অব ইনক্লুসিভ ল্যাংগুয়েজ শিক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। কারণ ভাষা হচেছ কারুর কোনো মতামত ও ধারণাকে অন্যের কাছে প্রকাশ করার মোক্ষম মাধ্যম। কথোপকথনে মানুষ বিশেষ কিছু শব্দ, বাক্য বা প্রকাশভঙ্গি প্রকাশ করে তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক পদমর্যাদা বা অবস্থান বুঝানোর জন্য। তাদের কন্ঠস্বর বা টোন অব স্পিকিং  বুঝিয়ে দেয় যে, তারা সামাজিকভাবে উচুঁ স্থানে অবস্থান করছেন। এটিকে ইনস্ট্রুমেন্টাল পাওয়ার বলা যায়। তার উল্টোটা হচেছ ইনফ্লূয়েসিয়াল পাওয়ার। আমরা যে পরিবেশে এবং কাদের সাথে কথা বলছি যে অনুযায়ী আমাদের টোন বা বলার ধরন বা প্রকাশভঙ্গি পাল্টে যায়। যেমন আমরা যখন ব্যক্তিগতভাবে কাউকে কিছু লিখি বা কথা বলি তখন এক ধরনের ভাষা ও প্রকাশভঙ্গী ব্যবহার করি। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলার সময় এক ধরনের, সমাজের নেতৃস্থানীয় কারুর সাথে কথা বলার সময় আমাদের কন্ঠস্বর এবং প্রকাশভঙ্গী থাকে আলাদা। এভাবে বিভিন্ন ধরনের টোন আমরা প্রয়োজনের তাগিদে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করি। বিভিন্ন ধরনের টোনের সাথে শিক্ষার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার বিষয়টিও প্রশংসনীয়। 
 
কবি, উপন্যাসিক এবং অন্যান্য লেখকরা তাদের লেখায় ইমেজারি ব্যবহার করেন পাঠকদের মনের মধ্যে একটি ইমেজ বা প্রতিবিম্ব সৃষ্টি করতে। সিমিলি ও মেটাফোর হচেছ দুই ধরনের ইমেজারি যা লেখকরা পাঠকদের মনে স্পষ্টভাবে তারা যাতে দেখতে পারেন, স্পর্শ করে বুঝতে পারেন, স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন, ঘ্রাণ শুকতে পারেন এবং শুনতে পারেন, সেভাবে তাদের লেখায় ব্যবহার করেন। সিমিলি এক ধরনের ফিগার অব স্পিস যা দুটো বস্তুর মধ্যে তুলনা করা অর্থে ব্যবহৃত হয়। আমরা যখন বলি, কাপড়টি দুধের মতো সাদা, ফলটি দেখতে চুলের মতো কালো, তিনি সিংহের মতো সাহসী, আমার বড় ভাই মৌমাছির মতো ব্যস্ত। এগুলো ব্যবহৃত হয় ভাষাকে আরও আকর্ষণীয়, বর্ণনাবহুল এবং সৃজনশীল করার জন্য। মেটাফেরও হচেচ এক ধরনের শক্তিশালী অস্ত্র যা শিক্ষার্থী ও পাঠকদের কোনো জটিল বিষয় ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করে। তবে, মেটাফোর ব্যবহার করার সময় সিমিলির ন্যায় ’মতো’ বা ’ ন্যায়’ এ ধরনের কোন সাইনপোস্ট থাকে না। তাই মেটাফেরকে বলা যায় সরসারি সিমিলি। যেমন ’ জীবন একটি ভ্রমণ’ ’ জীবন এক রোলার কোস্টার। জীবনকে সরাসরি ভ্রমণের সাথে, তুলনা করা হয়েছে। জীবনকে রোলার কোস্টারের সাথে তুলনা করা হয়েছে , রোলার কোস্টারে যেমন উচুঁতে উঠতে হয়, নিচুতে নামতে হয়, সেখানে আনন্দ আছে, বিস্ময় আছে আবার ভয়ও আছে। জীবনও তাই।  ‘গোটা পৃথিবী একটি রঙ্গমঞ্চ’ অর্থাৎ গোটা পৃথিবীকে একটি নাটকের স্টেজের সাথে তুলনা করা হয়েছে। 

’দ্যা লাস্ট লিভ’ অধ্যায়ে শিক্ষার্থীদের পর পর অনেকগুলো প্রশ্ন করা হয়েছে- যেমন (ক) সম্প্রতি তুমি কোন গল্পের বই পড়েছ? (খ) তুমি সাধারণত কোন ধরনের বই পড়া পছন্দ কর? (গ) বইয়ের কোন অংশ যেমন প্লট, চরিত্র, বিষয় তোমাকে আকর্ষণ করে? (ঘ) তুমি এমন কোন কবিতা, নাটক কিংবা কবিতা পড়েছ যা তোমাকে উদ্দীপ্ত করেছে? (ঙ) উত্তর হাঁ হলে কি তোমাকে উদ্দীপ্ত করেছে এবং কিভাবে করেছে? (চ) তুমি তোমার বন্ধুকে বা বন্ধুদের কোন ধরনে বই পড়তে উৎসাহিত করবে এবং কেনো করবে? 

এ প্রশ্নগুলো শিক্ষার্থীদের ব্যস্ত রাখতে বা তারা যাতে নিদেজের কিছু করতে নিয়োজিত করতে পারে সেজন্য ঠিক আছে। রহস্যময় বই, ঐতিহাসিক বই, ফিকশন, নাটক, লোকসাহিত্য, ছোট গল্প- এ ধরনের ভাগ তারা বুঝবে যদিওবা দুই একটি বই তারা পড়ে থাকে। কিন্তু অনন্য ব্যতিক্রম ছাড়া আমাদের দেমের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাধারণ ক্লাসের বাইরের বই পড়েন না। তারা প্লট, সেটিংসহ অন্যান্য ভাগও বুঝতে পারেন না। কোন বই ভাল লেগেছে, তোমার বন্ধুদের কোন বই পড়তে উৎসাহিত করবে, কেন করবে এগুলো অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জন্য বিব্রতকর। তবে, শিক্ষক দু’ একটি গল্প কিংবা উপন্যাসের কাহিনী বলে কোনটি কোন ধরনের সাহিত্যিক কর্ম সেটি বর্ণনা করে শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞেস করতে পারেন- তোমরা এ ধররেন কোন বই শীঘ্র পড়েছো কিন, পড়ে থাকলে কেমন লেগেছে, তুমি একই বই তোমার অন্য বন্ধুদেরও পড়তে উৎসাহতি করবে। কেন করবে।

প্রতিটি বই-ই আমাদের নতুন এক যাত্রার দিকে নিয়ে যায়, আমাদের দিগন্ত প্রসারিত করে। নাটকও হচেছ সাহিত্যের একটি বিশেষ ভাগ, যেটি পড়ার চেয়ে দেখাতেই এবং উপভোগ করাতেই  বেশি সার্থকতা। একটি নাটকে কথোপকথন থাকে, বিভিন্ন চরিত্র থাকে, ঘটনার একটি প্লট থাকে, প্লট হচেছ গল্পের ধারাবাহিকতা- শুরু, চরম পর্যায় এবং শেষ, নাটকের সেটিং অর্থাৎ গল্পটি কোথায় ঘটেছে। নাটকে বিভিন্ন অ্যাক্ট ও দৃশ্য থাকে। এই নাটকের মধ্যে ট্রাজেডি হচেছ বিয়োগান্তক ঘটনা। নতুন টেকস্টবইয়ে শেক্সপিয়ারের ট্রাজেডি ’ ওথেলো’ দেয়া হয়েছে। শেক্সপিয়ারের ট্রাজেডির উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যগুলো সংক্ষেপে আলোচিত হয়েছে। যেমন- শ্রেক্সপিয়ারের ট্রাজেডির হিরো প্রধানত উচচ পদধারী হয়ে থাকেন। রাজা, প্রধান সেনাপতি এই জাতীয় লোকজন। সুপারন্যাচারাল অর্থাৎ অতিন্দ্রিয় বিষয়ের উপস্থিতি যা তাঁর নাটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শেক্সপিয়ারের নায়ক নায়িকাদের এক ধরনের দুর্বলতা দেখা যায় যা তাদের ভীষণ দ্বন্দের মধ্যে ফেলে দেয়, ‘এ কাজটি  করব কি করব না’ জাতীয় দোটনার মধ্যে পড়ে যান নায়ক।। নায়ক নায়িকার ভুলের জন্য ঘটে ট্রাজেডি।  নায়ক নায়িকাদের প্রতিশোধস্পৃহা, হত্যা ও উচ্চাকাঙ্খাও শেক্সপিয়ারের ট্রাজেডির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শেক্সপিয়ারের  বিখ্যাত ট্রাজেডি ’ ওথেলো’র সাথে পরিচিত করানো এবং শেক্সপিয়ারের ট্রাজেডির যে বিশেষ বৈশিষ্টাবলী বর্ণিত হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের সাহিত্য সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা দেয়ার প্রয়াস যা  প্রশংসার দাবিদার।

সবশেষে বলা যায়, বইটির উদ্দেশ্য হচেছ শিক্ষার্থীদের নিম্নলিখিত দক্ষতাগুলো অর্জন করানো। যেমন- একটি প্রদত্ত কনটেক্সটের  ফ্যাক্টস এবং ওপিনিয়নের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারার এবং নির্দেশ করার দক্ষতা, বর্ণনার স্বচছতা, গঠনপ্রকৃতি এবং সাহিত্যের বিভিন্ন বিভাগ চিনতে পারার দক্ষতা, ভাষিক নর্মগুলো বিশেষ সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে ইংরেজি সাহিত্যের নান্দনিক দিকগুলো বুঝতে পারা এবং নিজের মধ্যে নান্দনিক দিকগুলোর প্রকাশ ও সম্মিলন ঘটানোর দক্ষতা অর্জন। এগুলো প্রায় সবই অবশ্য  শিক্ষার্থীদের সাহিত্যিক দিকের উন্নয়ন ও দক্ষতা অর্জনকে নির্দেশ করে।  কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীদের নিত্যদিনের ব্যবহারে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করার যোগ্যতা ও দক্ষতার উন্নয়নের ওপর বেশি জোর দিলে আরও একটু ভাল হতো, কারণ সবাই ইংরেজি কিংবা বাংলা সাহিত্য উচচশিক্ষাগ্রণের ক্ষেত্রে পছন্দ নাও করতে পারে। কিন্তু নিত্যদিনের ইংরেজি ভাষিক দক্ষতা- শোনা, বলা, পড়া ও লেখা তাদের জন্য বেশি প্রয়োজনীয়। তবে, সাহিত্য সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা থাকাটাও প্রয়োজন। সর্বপরি বলা যায়, একজন শিক্ষক যদি এই বিষয়গুলোকেই ফলপ্রসূভাবে শ্রেণিকক্ষে  পড়াতে পারেন এবং শিক্ষার্থীদের সেভাবে পরিচালিত ও অংশগ্রহণ করাতে পারেন তাহলে ভাষিক ও সাহিত্যিক দুটো দক্ষতাই শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে পারবেন। 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, লিড এডুকেশন ও রিসার্চ, দৈনিকশিক্ষাডটকম 

 

 
শিক্ষাসহ সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

 


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha এনটিআরসিএর সার্টিফিকেট সংশোধনের নতুন নির্দেশনা দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা - dainik shiksha দেড় মাস পর ক্লাসে ফিরছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা, স্থগিত পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার - dainik shiksha অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের সংখ্যা বাড়াতে চায় সরকার চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা - dainik shiksha চাকরির বয়স নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর চিঠির পর সমাবেশের ডাক দিলো ৩৫ প্রত্যাশীরা স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? - dainik shiksha স্কুলে গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার? কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার - dainik shiksha কলেজের শিক্ষকদের ডিজিটাল বদলির আবেদন শুরু রোববার দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী - dainik shiksha দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটিতে বিশেষ কমিটি গঠনে নীতিমালা হবে: শিক্ষামন্ত্রী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0024528503417969