চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ১৯৩ কোটি ডলার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের মাসে এসেছিল প্রায় ১৯৮ কোটি ডলার। সে বিবেবচনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৫ কোটি ডলার। অবশ্য গত বছরের একই মাসের তুলনায় বেড়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল মাত্র ১৬০ কোটি ডলার।
ডলার খরচ কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যেও রিজার্ভ কমছে। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্ততায় নির্ধারিত দরের চেয়ে অনেক বেশিতে ডলার বেচাকেনা হচ্ছে। এবিবি ও বাফেদা রেমিট্যান্সে দর নির্ধারণ করেছে ১০৯ টাকা ৭৫ পয়সা। যদিও সঙ্কট মেটাতে ১২৩ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে অনেক ব্যাংক। অবশ্য চলতি মাসের শুরুর দিকে শিথিলতার কারণে রেমিট্যান্স দ্রুত বাড়ছিল। গত মাসের প্রথম ১০ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ৭৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, দৈনিক যা ৭ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। আর কড়াকড়ি শুরুর পর শেষের ২০ দিনে এসেছে ১১৪ কোটি ডলার, দৈনিক যা ৫ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে আমদানি ব্যাপক কমলেও আশানুরুপ রেমিট্যান্স না আসা এবং বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণ দ্রুত কমায় আর্থিক হিসাবে বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যে কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচুর ডলার বিক্রি করছে ব্যাংকগুলোর কাছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টে রিজার্ভ ছিল রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। রিজার্ভের ধারাবাহিক পতন ঠেকাতে বিদেশি ঋণ বাড়ানোসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।