নম্বরের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলেন অধ্যাপক

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: ভারতের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শিক্ষার্থী ববিতা দত্তের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস। তার মৃত্যুর পর থেকে অভিযুক্ত অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় বিক্ষোভ করেছে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের ধর্না কর্মসূচি শুরু করেছে সংগঠনটি। 

অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন অধ্যাপক। বিয়ের কথা বলেই এসব করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে সম্প্রতি বেঁকে বসেন তিনি। এ নিয়ে মাটিগাড়া থানায় অধ্য়াপকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ছাত্রীর পরিবার। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের কর্মীরা এনিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। 

ববিতার ঘর থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। সেখানে নাম রয়েছে অধ্য়াপকের। পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। 

এবিভিপির দাবি, ববিতা দত্তকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে তারা। টায়ার জ্বালিয়েও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তদন্তে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। তবে ঘটনার পর বিভাগীয় প্রধান সিদ্ধার্থশঙ্কর লাহা ছুটি নিয়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।

ববিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপ পেয়েছিলেন। সে পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। সোসিওলজির ওপর গবেষণা করতেন তিনি। যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সেখানেই ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। কেন তার মৃত্যু তা প্রথমে বোঝা যায়নি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। এমনকি তার মৃত্যুতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারাও দুঃখ প্রকাশ করেন। অনেকে এনিয়ে সোশ্য়াল মিডিয়ায় লেখেন।  

বাড়িওয়ালা বিষয়টি জানতে পেরে সবাইকে খবর দেন। পরে জানা যায়, এক অধ্য়াপকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দিনের পর দিন ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করা হতো। কিন্তু বিয়ে করতে না চাওয়ায় ববিতা ভেঙে পড়েছিলেন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী - dainik shiksha বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেয়ার কেউ নেই: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! - dainik shiksha শিক্ষাখাতের নতুন তদবিরবাজ তিতাস! শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা চলছে: সমন্বয়ক হান্নান তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা - dainik shiksha তদন্ত রিপোর্ট না দিয়েই সটকে পড়ছেন শিক্ষা পরিদর্শকরা বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ - dainik shiksha বরখাস্ত হচ্ছেন শিক্ষা বোর্ডের সেই সচিব নারায়ণ নাথ আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা - dainik shiksha আমরা চাই না ছাত্রদের কঠোর হয়ে দমন করতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029361248016357