নলছিটি সরকারি কলেজের অবৈধ অধ্যক্ষ কবিরের পদত্যাগ দাবি

আমাদের বার্তা ডেস্ক |

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ঝালকাঠির নলছিটি সরকারি ডিগ্রি কলেজের অবৈধভাবে নিয়োগকৃত ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবিরের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কলেজের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ সুগন্ধা নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে অবস্থিত বেসরকারি কলেজটি কয়েকবছর আগে সরকারি হলেও অধ্যক্ষ রফিকুল এখনও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। রফিকুলের কর্মকান্ডে শিক্ষক সমাজ সম্পর্কে এলাকায় ঘৃণা জন্মেছে। সরকারিকৃত হওয়ার পর কলেজটির পড়াশোনার মান লাটে উঠেছে।    

সোমবার সকালে নলছিটি শহরে মানববন্ধন করেন কলেজের কয়েক শত শিক্ষার্থী। একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাবু, বর্তমান সভাপতি রাকিব গাজী, সদস্যসচিব হিমেল ও শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, রফিকুল ইসলাম কবির নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাকে অবৈধভাবে নলছিটি ডিগ্রি কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয়। কলেজে অধ্যক্ষ পদ শূন্য রেখে তিনিই বছরের পর বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার অবৈধ নিয়োগের বিরুদ্ধে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে একটি মামলা করা হয়েছিলো। মামলায় নিয়োগ স্থগিত করা হলেও দলীয় প্রভাবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি বরিশাল সিটি কলেজে ১২ বছর প্রভাষক হিসেবে দায়িত্ব পালন না করে সরাসরি উপাধ্যক্ষ নিয়োগ পান, যেটা পুরোপুরি অনিয়মতান্ত্রিক একটি নিয়োগ ছিলো। তার নিয়োগ পরীক্ষায় ২৯ জন প্রার্থী থাকার পরও দলীয় চাপ প্রয়োগের  মাধ্যমে কাউকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। দুইজন ডামি প্রার্থী রেখে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হয়ে কলেজ সরকারিকরণের কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় ভর্তি ফি ১ হাজার ২৫০ টাকা বোর্ড থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তিনি ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার হাজার টাকা নিয়ে ভর্তি বাণিজ্য করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড দেয়া বাবদ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর  কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়েছেন। এভাবে নানা কৌশলে অনিয়ম এবং বাণিজ্য করে দীর্ঘ ১২ বছরে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ।

অভিযোগের বিষয়ে রফিকুল ইসলাম কবির বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করে মানববন্ধন করা হয়েছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য একদল লোক আমার পেছনে লেগেছে।


পাঠকের মন্তব্য দেখুন
প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত: গণশিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া উচিত: গণশিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি আসামিদের দ্রুত ফাঁ*সির দাবি জানালেন আবরারের মা - dainik shiksha আসামিদের দ্রুত ফাঁ*সির দাবি জানালেন আবরারের মা প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ৫০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক - dainik shiksha প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে ৫০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না - dainik shiksha বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক ভিসি হতে চান, ক্লাসে পড়াতে চান না শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি - dainik shiksha শিক্ষাক্রমে আরবি ভাষা বাধ্যতামূলক করার দাবি শেখ হাসিনার পরিবারের নামে সোয়াশ কলেজ স্কুল মাদরাসা - dainik shiksha শেখ হাসিনার পরিবারের নামে সোয়াশ কলেজ স্কুল মাদরাসা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0045380592346191