ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তার সহপাঠীরা। আজ রোববার বিকেলে নাঈমের সহপাঠীদের পক্ষ থেকে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপসের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তারা এই দাবি জানিয়েছে।
নাঈমের সহপাঠী হাসিবুর রহমান বলে, ‘বিকেল ৪টার দিকে মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে আমরা পাঁচজনের একটি দল নগর ভবনে যাই। মেয়র ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তবে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীর হাতে চিঠি দিয়ে এসেছি। সেখানে আমরা নাঈমের হত্যাকারীর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি নাঈমের পরিবারকে যেন ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, সেই দাবি করেছি।’
হাসিবুর বলে, ‘নাঈম মেধাবী শিক্ষার্থী ছিল। লেখাপড়া শেষ করে সে পরিবারের হাল ধরত। তাকে নিয়ে তার বাবা-মায়ের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখন সবই অতীত। তার মৃত্যুতে পরিবারটির যে ক্ষতি হয়েছে, সেটি আর্থিকভাবে মূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। এটি অপূরণীয় ক্ষতি। এখন নাঈমের পরিবারটি যেন আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ পায়, সেই দাবি জানাচ্ছি।’
ক্ষতিপূরণ ছাড়াও নাঈমের সহপাঠীরা মেয়রকে আরও তিনটি দাবির কথা চিঠিতে জানিয়েছে। দাবিগুলো হলো নাঈমের হত্যার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে; এই হত্যার পেছনে যাঁদের কর্তব্যে গাফিলতি আছে, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সড়ক নিরাপদে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। চিঠি দেওয়ার সময় হাসিবুরের সঙ্গে ছিল মুহতাসিম আবরার, মুইনুদ্দিন, ওমর ফারুক ও যুবায়ের আহমেদ।
গত বুধবার কলেজে যাওয়ার পথে গুলিস্তানে রাস্তা পার হওয়ার সময় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির চাপায় নিহত হয় নাঈম হাসান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নাঈমের মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যা দাবি করে বুধবার গুলিস্তান মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। পরদিন বৃহস্পতিবার নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা মতিঝিলের শাপলা চত্বর, গুলিস্তান মোড়, জিরো পয়েন্ট এবং নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে তারা নগর ভবনের মূল ফটকের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখায়। পরে দক্ষিণ সিটির মেয়র ফজলে নূর তাপস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা ফিরে যায়।