এবারের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় নাটোর জেলায় ৭৮ দশমিক ৪২ শতাংশ পাসের হার হলেও চারটি কলেজের কেউ পাস করেনি।
এদিকে জেলায় জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টা সময় রাজশাহীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান অলিউল আলম ফল প্রকাশের পর এসব তথ্য জানা গেছে।
পাস না করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নলডাঙ্গা উপজেলার সরকুতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা উইমেন্স কলেজ ও সদর উপজেলার বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়। এরমধ্যে গুরুদাসপুর উপজেলার দুর্গাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ছয়জন, সরকুতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে দুইজন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। নলডাঙ্গার উপজেলার সরকোতিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে দুইজন, বাগাতিপাড়া উপজেলার তমালতলা উইমেন্স কলেজ থেকে দুইজন এবং সদরের বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয় থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কেউ পাস করেনি।
এ ব্যাপারে নাটোর বেগম খালেদা জিয়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, তাদের নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে শুরুর দিকে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ভালো ছিল। পরবর্তীতে পটপরিবর্তন হলে এখানে কাউকে ভর্তি করাতে দেওয়া হতো না। কলেজ খুলতেও অনেক সময় বাধা প্রদান করা হতো। তবুও প্রতি বছর পাসের সংখ্যা আশানুরূপ থাকতো। এ বছর যে পাঁচজন পরীক্ষা দিয়েছে তারা কেউ নিয়মিত ক্লাসও করতেন না। তিনি চেষ্টা করেছেন নতুন করে প্রতিষ্ঠানকে ঢেলে সাজানোর। আশা করি সামনের বছর ভালো ফলাফল হবে।
এ বিষয়ে জানতে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. রওশন আলী জানান, জেলায় এ বছর মোট ১১ হাজার ৪৬৭ জন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এর ভেতর পাস করেছেন আট হাজার ৯৯২ জন। চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করতে পারেনি। এ প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে কেন পাস করতে পার না সে বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
নাটোরের জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহাদুজ্জামান জানান, তিনি নাটোরের বাহিরে আছেন। যে-সব প্রতিষ্ঠানে একজনও পাস করেনি সেসব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে খুব শীঘ্রই বসবো এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি, নিয়মিত ক্লাশ করাসহ সার্বিক বিষয়ে মনিটরিং করা হবে।