দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুড়িগ্রাম : উদ্বোধনের দেড় মাসের মাথায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটে। ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের কারণে গত শুক্রবার ওই দুই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত পণ্যবাহী গাড়ি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই নৌরুটের চারটি স্থানে সৃষ্টি হয়েছে নাব্যতা সংকট। দ্রুত ড্রেজিং করা না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর উদ্বোধনের পর কুঞ্জলতার যাত্রা শুরুর মাধ্যমে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি পরিষেবা চালু হয়। তারপর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় রুটটিতে দ্বিতীয় ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল যুক্ত করা হয়। কিন্তু এক মাস যেতে না যেতেই নাব্যতা সংকট দেখিয়ে গত ২৯ অক্টোবর বেগম সুফিয়া কামাল ফেরিটি সরিয়ে নেয়া হয়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়ে যায়। দুর্ভোগ দূর করতে নৌ-কর্তৃপক্ষ গত ৪ নভেম্বর চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে যুক্ত করে কদম নামে একটি ফেরি। এর মাত্র কয়েক দিনের মাথায় নাব্যতা সংকটের কারণে গত শুক্রবার থেকে দুটি ফেরি চলাচলই বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
কুঞ্জলতা ফেরির মাস্টার অফিসার মো. রেজাউল ইসলাম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে গত কয়েকদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে ফেরি চলানো হলেও বর্তমানে আর সম্ভব হচ্ছে না, তাই কর্তৃপক্ষের সিন্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় চিলমারী ও রৌমারী ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী ও চালকরা।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চিলমারী-রৌমারী নৌ-রুটের চিলমারী এলাকার রমনা মডেল ইউনিয়নের ব্যাংকমারা ও রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট ও রৌমারী উপজেলার বলতমারী ও রৌমারী ঘাটের কাছে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। সৃষ্টি হয়েছে ডুবোচরের। নিয়মিতভাবে ড্রেজিং না করায় নৌপথটি সচল থাকছে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চিলমারী ঘাটের ব্যবস্থাপক প্রফুল্ল চৌহান বলেন, নাব্যতা সংকটের কারণে আপাতত ফেরি দুটি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ড্রেজিং করলে, নদীতে পানি হলে আবারো ফেরি চলাচল শুরু হবে।