ক্লাস বর্জন করে সাংবাদিক হেনস্তাকারীদের শাস্তিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা। এ সময় আন্দোলনকারীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (চবিসাস)।
রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধন থেকে প্রশাসনের চারটি দাবি তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি প্রশাসনকে এসব দাবি বাস্তবায়নে ৩ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হলো
১. হেনস্তার ঘটনায় জড়িত ছাত্রদের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার ও ছাত্রত্ব বাতিল
২. অতিসত্ত্বর মারজান আক্তারের জীবনের প্রতি হুমকিদাতা ছাত্র ও বহিরাগতদের গ্রেফতার।
৩. সাংবাদিকসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের হেনস্তার আগে সব ঘটনার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা।
৪. ক্যাম্পাসে সাংবাদিকসহ সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘সাংবাদিক হচ্ছে জাতির দর্পণ। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাংবাদিকদের দায়িত্ববোধও বেশি। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম দুর্নীতি তুলে ধরবে। কিন্তু এ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া যখন ব্যাহত হয় আঙ্গুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দিকেই ওঠে। পাশাপাশি পুরো বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।’
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পাসে প্রায় ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর কণ্ঠস্বর হিসেবে কাজ করে গণমাধ্যমকর্মীরা। শিক্ষার্থীদের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সঙ্গী সাংবাদিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্ভাবনার গল্পের পাশাপাশি সব অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরও উঠে আসে সাংবাদিকদের কলমে৷ পেশাগত দায়িত্বপালনকালে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়া মানে ক্যাম্পাসের ২৮ হাজার শিক্ষার্থীর টুটি চেপে ধরা। আমরা আজকের এ আন্দোলনে সংহতি জানাচ্ছি এবং দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রওশন আক্তার, সহযোগী অধ্যাপক প্রফেসর ড. শহীদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা করিম, সহকারী অধ্যাপক সুবর্ণা মজুমদার, সহকারী অধ্যাপক খন্দকার আলী আর রাজী, সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সহকারী অধ্যাপক রাজীব নন্দী।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে বাধা দেন চবি ছাত্রলীগের বগি ভিত্তিক উপ-গ্রুপ ভিএক্স ও বাংলার মুখের অনুসারীরা। এ সময় ভিডিও ফুটেজ ধারণ করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মারজান আক্তারকে হেনস্তা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় আরটিভির ক্যামেরা পারসন এমরাউল কায়েস মিঠুসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন তারা।